জোট সরকারের ঘোষণা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৫১ এএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:২৮ পিএম
জোট সরকার গঠন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) পিএমএল-এনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, (বাঁ থেকে চতুর্থ) পিপিপির বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি। মঙ্গলবার গভীর রাতে লাহোরে। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানে অবশেষে জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। জোট সরকারের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলি জারদারি। প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) শাহবাজ শরিফ।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে লাহোরে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন তারা। উভয় দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারা ‘জাতির স্বার্থে’ আবারও জোট সরকার গঠন করছেন।
পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি উভয় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পিপিপি ও মুসলিম লীগের (নওয়াজ) এখন সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আমরা পরবর্তী সরকার গঠনের অবস্থানে রয়েছি।
এবারের নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ৭৯ আসন পেয়ে পিএমএল-এন বৃহত্তম দল হয়েছে আর ৫৪ আসন পাওয়া পিপিপি দ্বিতীয় স্থানে আছে। তাদের জোটে আরও চারটি ছোট দল যোগ দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এসব দল মিলিয়ে জোটটি পাকিস্তানের ২৬৪ আসনের জাতীয় পরিষদে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৪ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকট, উন্নয়নে শ্লথগতি ও রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতিতে ভুগছে। পাশাপাশি দেশটিতে জঙ্গি সহিংসতাও বেড়ে চলেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল প্রশাসন ও সরকার দরকার। কিন্তু নির্বাচনের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার গঠনে দেরি হতে থাকায় উদ্বেগ দেখা দিচ্ছিল।
বিলাওয়াল ভুট্টো জানিয়েছেন, তাদের জোট যত দ্রুত সম্ভব সরকার গঠনের উদ্যোগ নেবে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী ২৯ ফেব্রুয়ারি নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ওই দিনই নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে ভোট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।