প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৭ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০০ পিএম
সুয়েজ খালে একটি পণ্যবাহী জাহাজ। গত ডিসেম্বরে তোলা। ছবি : সংগৃহীত
গাজা যুদ্ধ শুরু থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুতিরা। এতে করে সতর্ক হয়ে বিশ্বের অনেক দেশ সুয়েজ খাল এড়িয়ে পণ্য পরিবহন করছে। ফলে ২০২৪ সালের প্রথম দেড় মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সুয়েজ খাল থেকে মিসরের আয় কমেছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্বালানি তেল কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিসরের প্রেসিডেন্ট বলেন, দেখুন, গাজার সঙ্গে আমাদের সীমান্তে কী ঘটছে যে সুয়েজ খাল থেকে মিসর প্রতি বছর প্রায় হাজার কোটি ডলার আয় করত, সেই রাজস্ব এখন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। অথচ আমাদের কোম্পানি ও অংশীদারদের ঠিকই অর্থ দিতে হচ্ছে।
জাতিসংঘ জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে জানিয়েছিল, আগের দুই মাসে সুয়েজ খাল দিয়ে চলাচলকারী জাহাজের সংখ্যা ৪২ শতাংশ কমেছে।
জাতিসংঘের কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আঙ্কটাড) তথ্যমতে, আগের বছরের তুলনায় সুয়েজ খাল দিয়ে সাপ্তাহিক কনটেইনার জাহাজ চলাচল কমেছে ৬৭ শতাংশ, ট্যাংকারের ট্রানজিট ১৮ শতাংশ, শস্য ও কয়লা বহনকারী বাল্ক কার্গো জাহাজের ট্রানজিট কমেছে ছয় শতাংশ এবং গ্যাস পরিবহন কার্যত স্থবিরই হয়ে পড়েছে।
লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে ১৮৬৯ সালে চালু হওয়া সুয়েজ খাল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাল থেকে মিসরের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৬০ কোটি মার্কিন ডলার।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা