প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫১ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:০৯ পিএম
ইরানে এক যুবকের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে একই পরিবারের ১২ জন। নিহতরা সবাই যুবকের পরিবারের সদস্য। এই হামলায় আহত হন আরও তিনজন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের কেরমান প্রদেশের ফারইয়াব নামক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের গুলিতে ওই যুবকও নিহত হন। হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি স্থানীয় প্রশাসন।
কেরমান প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম হামিদি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, হামলাকারী ও তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কয়েক দিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। পারিবারিক অশান্তি থেকেই শনিবার সকালে রাগের মাথায় বাবা, দাদাসহ পরিবারের ১২ জনকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি। হামলাকারী যুবক কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করেছিল।
নিহতরা সবাই পাশাপাশি দুটি বাড়িতে থাকতেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে রয়েছে ওই যুবকের বাবা, দাদা, দুই সৎভাইসহ অন্যান্য আত্মীয়।
সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় কেরমান প্রদেশের পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতির পরও তার হাতে ছিল রাইফেল। এ সময় তিনি পুলিশের দিকেও গুলি ছোড়েন। পুলিশ তাকে রাইফেল ফেলে আত্মসমর্পণের কথা বললে সে গুলি ছুড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ হামলাকারীকে গুলি করলে ওই যুবক ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। হামলার এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করে।
ইরানের সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সহিংসতার পরিমাণ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির কারণেও এর প্রভাব পড়েছে সমাজের জনসাধারণের ওপর।
যদিও ইরানে সাধারণত এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেশ বিরল। এ ঘটনার আগে ২০২২ সালে এক ব্যক্তি কাজ হারিয়ে অফিসের মধ্যেই গুলি চালিয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। তারও আগে ২০১৬ সালে ২৬ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধে গুলি করে ১০ জনকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল।