প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৫৫ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২২ ১৪:২৪ পিএম
ইসলামাবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন ইমরান খানের সমর্থকরা।
পিটিআই নেতাসহ লংমার্চের অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের জন্য আলাদা মামলা করেছে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ পুলিশ। মামলাগুলো দেশটির রাজধানীর একটি থানায় ৩৫৩ ধারায় করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে (এফআইআর) উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ওই এফআইআরের একটি অনুলিপি তাদের কাছে পৌঁছেছে।
এফআইআরে বলা হয়েছে, ‘গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পিটিআই নেতা আমির মেহমুদ কায়ানি, আলি আহমেদ আওয়ান, ওয়াসিফ কাইয়ুম, চৌধুরী শোয়েব এবং অন্যান্যদের নেতৃত্বে প্রায় ২৫০-৩০০ বিক্ষোভকারী ফৈজাবাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল এবং তারা পুলিশ ও এফসি কর্মীদের আক্রমণ করার জন্য দলীয় কর্মীদের উসকানি দিয়েছিল।’
এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, সেদিনের হামলায় কমপক্ষে নয়জন এফসি কর্মী এবং পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে লংমার্চে নামা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) গুলি করা হয়।
২৮ অক্টোবর লাহোর থেকে সরকারবিরোধী লংমার্চ শুরু করেন তিনি। সাত দিনের মাথায় এ লংমার্চ পৌঁছায় ওয়াজিরাবাদে। সেখানেই বৃহস্পতিবার ভাষণ দেওয়ার আগমুহূর্তেই গুলির ঘটনা ঘটে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ তার দলের অন্তত চার নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে পিটিআই নেতারা জানিয়েছেন।
পিটিআই মহাসচিব আসাদ উমর ইমরান খানকে গুলি করার জন্য পাকিস্তানের তিন ব্যক্তিকে সন্দেহ করছেন। তারা হলেন—প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ।আরেকজনের বিষয়ে বলা হয়, একজন সেনা কর্মকর্তা।
এ তিনজনের পদত্যাগ দাবি করছে পিটিআই। দাবি আদায়ে ও পিটিআই চেয়ারম্যানকে গুলি করার প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে চলছে বিক্ষোভ।