প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২২ ১২:৩১ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২২ ১৪:১৪ পিএম
ওয়াগনার গ্রুপের সদর দপ্তর থেকে বেরিয়ে আসছেন ছদ্মবেশী ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি।
এতদিন গোপন করে রাখা রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের গ্রুপ ওয়াগনার তার প্রথম অফিশিয়াল সদর দপ্তর খুলেছে সেন্ট পিটার্সবার্গে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইয়েভজেনি প্রিগোজিন নিয়ন্ত্রিত দলটি গত শুক্রবার যে বহুতল সদর দপ্তরটি খুলেছে, তার কাচের দেয়ালে বড় সাদা ‘ওয়াগনার’ চিহ্ন রয়েছে।
সামরিক প্রমাণ প্রচার করার এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষানীতি গঠনে জনসাধারণের আরও অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রিগোজিন ‘ওয়াগনার সেন্টার’ খুলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রিগোজিন ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার বিপর্যয় সম্পর্কে চেচেন নেতা রমজান কাদিরভের সঙ্গে একমত হয়েছেন।
তিনি অবশ্য ওয়াগনারের পেছনে থাকার কথা দীর্ঘদিন ধরে অস্বীকার করে আসছিলেন। তার গ্রুপের চুক্তিবদ্ধ সেনারা ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে সমর্থন করছে এবং আফ্রিকা, সিরিয়া ও লিবিয়ায় কাজ করেছে।
প্রিগোজিন গত মাসে প্রকাশ্যে প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেন, তিনিই ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ওয়াগনার গ্রুপকে অভিযুক্ত করেছে। তারা বলেছে, মস্কোর পক্ষে গোপন অভিযান চালিয়েছে ওয়াগনার।
এর আগে ২০২১ সালে ইইউ বলেছিল, ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেন, সিরিয়া, লিবিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, সুদান ও মোজাম্বিকে নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ নানা অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী।
প্রিগোজিন গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পিএমসি ওয়াগনার সেন্টারের লক্ষ্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নত করার জন্য নতুন ধারণা তৈরির একটি আরামদায়ক পরিবেশ দেওয়া।’
প্রিগোজিনকে কখনও কখনও ‘পুতিনের শেফ’ বলে ডাকা হয় তার বিস্তৃত ক্যাটারিং ব্যবসার জন্য।
সদর দপ্তর উদ্বোধনের সময় ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর ব্যবহার করা ‘জেড’ চিহ্ন খচিত একটি ট্রাক বাইরে পার্ক করা ছিল।
কেন্দ্রের প্রেস সেক্রেটারি আনাস্তাসিয়া ভাসিলেভস্কায়া বলেন, ‘আমরা আইটি, শিল্পপ্রযুক্তি ও নতুন ধারণার বিকাশকারী স্টার্ট-আপগুলোকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, যা তারা জাতীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে প্রস্তুত। আমরা অবশ্যই এমন প্রকল্পগুলোয় আগ্রহী যেগুলো আমদানি প্রতিস্থাপন হিসেবে কাজ করতে পারে।’
ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে মস্কোর ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জন্য বিদেশি অস্ত্রপ্রযুক্তি কেনা কঠিন করে তুলেছে।
সামরিক ছদ্মবেশ পরিহিত ওয়াগনার স্বেচ্ছাসেবী আলেক্সি স্যাভিনস্কি বলেন, ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য এমন একটি কেন্দ্র তৈরি করা। এটি সত্যিই দেরিতে তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ সামরিক অভিযানের এক বছর আগে এ কেন্দ্রটি খোলা উচিত ছিল। সুতরাং এটি সময়সূচি থেকে দুই বছর পিছিয়ে।’