প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২২ ২০:৪০ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২২ ০১:০১ এএম
লাইভে ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত
লংমার্চে গুলিবিদ্ধ হওয়ার একদিন পর শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে লাইভে আসেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। লাহোরা শওকত খানম হাসপাতাল থেকে জাতীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, আমাকে হত্যার করার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা আগের দিনেই জেনেছিলাম। এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে পরে বিস্তারিত বলব। আগের দিনই জেনে ছিলাম, হামলাকারীরা ওয়াজিরাবাদে প্রবেশ করেছে। তারা আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর জাতীর উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে পাকিস্তানের বর্তমান সরকার, নির্বাচন কমিশন, সেনাবাহিনী, নিজের পার্টি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও অন্য রাজনীতিক দলসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন ইমরান খান।
গণতন্ত্র চায় না কোনো প্রতিষ্ঠান
ভাষণে খান অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তান স্বায়ত্তশাসতি কোনো প্রতিষ্ঠানই চায় না, এখানে গণতন্ত্র বিকশিত হোক। জুলাইয়ের পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে আমার দলের প্রার্থীদের যেভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে, তা নজিরবিহীন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানই আমাদের বিরুদ্ধ কাজ করছে। এমন কি কারচুপিও হয়েছে। তারপরও আমার বিপুল ব্যাবধানে জিতেছি।
তোষাখানা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে পিটিআই প্রধান বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) সরকারি কোষাগার (তোষাখানা) থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরির যে অভিযোগ করেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা। নির্বাচন থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে রাখতেই তা করা হয়েছে। ইসিপি প্রধান সিকান্দার সুলতান রাজা (নওয়াজ) শরিফ পরিবারের একজন পা-চাটা গোলাম। তোষাখানা নিয়ে ইসিপির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নেবে পিটিআিই।
সেনাবাহিনী ও রাজনীতি
পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, পিটিআই পাকিস্তান পিপলস পাটি (পিপিপি) বা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) মতো সেনাবাহিনীর তৈরি করা কোনো পার্টি নয়। এ দুই পার্টি দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে আছে। তাদের দুর্নীতির কারণে দেশ ঋণে জর্জরিত। তাছাড়া ২০১৮ সালের নির্বাচনে সেনা সহায়তা নয়, জনগণের ভোটেই পিটিআই ক্ষমতায় এসেছিল বলে দাবি করেন ইমরান খান।
এক নয়, অস্ত্রধারী ছিলেন দুজন
গত বৃহস্পতিবারের হামলার পর পাঞ্জাব পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, হামলাকারী ছিলেন একজন। হামলাকারীর একটি ভিডিও জবানবন্দিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া হয়েছে। এতে কথিত অস্ত্রধারী বলেন, ইমরান খান জনগণেকে বিভ্রান্ত করছিলেন। তাই আমি তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম। শুধু তাকেই, আর কাউকে নয়।
গত বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদে প্রথম গুলিটি আমার পায়ে লাগার পর, আমি পড়ে যাই। এরপর দ্বিতীয় বুলেটটি ছোড়া হয়। অস্ত্রধারী ছিলেন দুজন। দ্বিতীয় বুলেটটি লাগলে আমি বাঁচতাম না।
ইমরান খানের দাবি, যে একজন অস্ত্রধারীকে আটক করা হয়েছে, তাকে চরমপন্থী তকমা দেওয়া হচ্ছে। সে মোটেও তা নয়। এর পেছেনে অন্য উদ্দেশ্যে আছে। পরে আমরা বিস্তারিত জানাব।