প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:১৩ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৩৬ পিএম
কাতালিন নোভাক। ছবি : সংগৃহীত
হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট কাতালিন নোভাক পদত্যাগ করেছেন। শিশু যৌন নিপীড়নের মামলায় দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেওয়ায় ক্ষোভের মুখে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নোভাক বলেন, আমি একটি ভুল করেছি। আজকেই আমার আপনাদের সামনে নিজেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সম্বোধন করার শেষ দিন।
আগের দিন শুক্রবার প্রায় ১ হাজার মানুষ নোভাকের পদত্যাগের দাবিতে দেশটির রাজধানীতে বিক্ষোভ করে। হাঙ্গেরির বিরোধী দলগুলোও নোভাকের পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে পোপ ফ্রান্সিসের সফরের অল্প কিছু দিন আগে দোষী সাব্যস্ত প্রায় দুই ডজন ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন নোভাক। ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি শিশু হোমের উপপরিচালক এন্ড্রে কে-ও ছিল। এন্ড্রে শিশু হোমটির সাবেক পরিচালককে শিশু যৌন নিপীড়নের অপরাধ গোপন করতে সহায়তা করেছিল।
২০২২ সালে এন্ড্রেকে তিন বছর চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আরও পাঁচ বছরের জন্য তাকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত কার্যকলাপ এবং পেশা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু নোভাকের ক্ষমা প্রদানের ফলে সে মুক্তি পায় এবং তার পেশায় ফিরে যাওয়ার অনুমতিও পায়।
নোভাক হাঙ্গেরির রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মিত্র। ইতঃপূর্বে তিনি পরিবারকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। হাঙ্গেরির ইতিহাসে প্রথম নারী ও সবচেয়ে কম বয়সি প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
নোভাকের পদত্যাগ হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী শাসক দল ফিদেজকে কিছুটা প্রতিকূল অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। ২০১০ সাল থেকে দলটি সাংবিধানিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অরবান শিশু নির্যাতনকারীদের ক্ষমা না করার বিষয়ে একটি সাংবিধানিক সংশোধনী ঘোষণা করেছেন। তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমি সাংবিধানিকভাবে একটি সংশোধনী আনব। যাতে করে নাবালক শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ করা অপরাধীদের জন্য ক্ষমা পাওয়া অসম্ভব হবে।’
অরবান নোভাককে নিয়ে বিতর্কের বিষয় সরাসরি উল্লেখ না করে বলেছেন, পেডোফিল অপরাধীদের ক্ষমা হওয়া উচিত না।
পেডোফিল বলতে এমন ব্যক্তিকে বুঝায় যে শিশুদের প্রতি যৌনভাবে আকৃষ্ট হয়।