প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৪২ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:০৩ পিএম
ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে গাজা হতে উচ্ছেদকৃতরা রাফা শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। ছবি : বিবিসি
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সামরিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে রাফা শহর থেকে জনগণকে সরিয়ে নেওয়ার এবং হামাসের ব্যাটালিয়নকে ধ্বংস করার একটি সম্মিলিত পরিকল্পনা তৈরি করে তা মন্ত্রীসভায় জমা দিতে বলেছেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তার কার্যালয় থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলের সামরিক বাহিনী যুদ্ধ অভিযান চালাচ্ছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি বর্তমানে গাজার রাফা শহরে অবস্থান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে রাফায় আগ্রাসন চালানোর বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছে। আর বলেছে রাফায় আক্রমণ চালালে তা হবে ‘বিপর্যয়’। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ উভয়ই এই বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলেছে শহরটি থেকে সব ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে না।
নেতানিয়াহু তার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হামাসকে নির্মূল না করে এবং রাফায় তাদের চারটি ব্যাটালিয়নকে রেখে কোনোক্রমেই এই যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। সেখানে যুদ্ধের তীব্র কার্যকলাপ চালাতে হলে রাফার জনগণকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।’
হামাসের ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করার পর তিনি এই মন্তব্যটি করেছেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে ‘পূর্ণ জয়’ এখন কেবল কয়েক মাসের ব্যাপার।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় ৫ হাজার। হামাস জিম্মি করে নিয়ে আসে ২৪০ থেকে ২৫৩ জন। নভেম্বরের সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে হামাস ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। হামাসের হাতে এখনও ১৩০ থেকে ১৪৩ ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে।
গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার স্পর্শ করতে চলেছে। নিহতদের ৭০ শতাংশের বেশি শিশু ও নারী। একই সময়ে আহত হয়েছে ৬৬ হাজারের বেশি। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এতিম হয়েছে ১৯ থেকে ২৪ হাজার শিশু।
সূত্র: বিবিসি