প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:২৫ এএম
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৪১ এএম
প্রতিরক্ষা বাহিনী পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। তবে এ পদক্ষেপ হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির রাজনীতি-বিশ্লেষকরা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশটির আইয়ারওয়াদি অঞ্চলের রাজধানী পাথেইনের চারটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলতি সপ্তাহে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
প্রথম দিনে মোট ১১৬ জন অধ্যাপকের সঙ্গে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় (পাথেইন, প্রযুক্তি, কম্পিউটার) এবং একটি শিক্ষা কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।
আইয়ারওয়াদি অঞ্চলে অধ্যাপক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এটি প্রথম সামরিক প্রশিক্ষণ বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী পাথেইন টাস্ক ফোর্স। গোষ্ঠীটির তথ্য সরবরাহকারী দল আরও জানিয়েছে, এ প্রশিক্ষণ শেষ হতে ১৫ থেকে ৪৫ দিন লাগবে।
সামরিক সমর্থক টেলিগ্রাম চ্যানেল জানিয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তবে তা নাকচ করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী পাথেইন টাস্ক ফোর্স।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইরাবতী। কিন্তু এখনও তাদের সাড়া মেলেনি।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তুমুল প্রতিরোধের মুখে পড়ে ভূমি-সৈন্য বাড়ানোর চেষ্টা করছে জান্তা সরকার। এরই মধ্যে তারা উত্তরাঞ্চলের শান, রাখাইন, কারেনি (কায়াহ) এবং চিন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সামরিক ঘাঁটি হারিয়েছে।
রাজনীতি-বিশ্লেষকরা জান্তার এ পদক্ষেপে হিতে বিপরীত দেখছেন। সোয়ে নাইং বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ জান্তা সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই বসন্ত বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে এবং সৈন্য গড়তে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তা সফল হবে না।