প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:১২ পিএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৬ পিএম
ধ্বংসস্তূপ দেখছে দুই ফিলিস্তিনি শিশু। ৬ ফেব্রুয়ারি রাফাহ ক্রসিংয়ে। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের প্রস্তাবিত ১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। হামাসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় ছাড়া ইসরায়েলের নিরাপত্তা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। একই সঙ্গে মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং এলাকায় নিজেদের সেনা অভিযান শুরুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, বিজয় আমাদের দোরগোড়ায়। হামাসকে সামরিকভাবে পরাজিত করা ছাড়া বিকল্প উপায় নেই। হামাসকে সামরিকভাবে পরাস্ত না করে রাজনৈতিকভাবে বিজয় লাভ অসম্ভব।
একই দিন গভীর রাতে তেলআবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সফল হওয়ার মতো নয়। তবে দর কষাকষির এখনও জায়গা রয়েছে। আমরা এখনও যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছি।
এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে নতুন করে আলোচনা করার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধিদল মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বুধবার বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান এটা নিশ্চিত করেছেন।
হামাসের এ কর্মকর্তা জানান, আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার কায়রোতে যাবেন। মিসর-কাতার যে প্রস্তাব দিয়েছে সেটা নিয়ে তারা আরও আলোচনা করবেন। অন্যদিকে নেতানিয়াহুর যুদ্ধের লক্ষ্যমাত্রায় গণহত্যা সুস্পষ্ট বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সম্প্রতি ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। বিনিময়ে হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
ইসরায়েলের প্রস্তাবের জবাবে পাল্টা ১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। ৪৫ দিন করে তিন দফায় এ যুদ্ধবিরতি শেষ হবে। এ সময়ে ধাপে ধাপে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। বিনিময়ে ইসরায়েল কারাগার থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চার মাস পূর্ণ করেছে। গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার স্পর্শ করতে চলেছে। নিহতদের ৭০ শতাংশের বেশি শিশু ও নারী। একই সময়ে আহত হয়েছে ৬৬ হাজারের বেশি। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এতিম হয়েছে ১৯ থেকে ২৪ হাজার শিশু।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় ৫ হাজার। হামাস জিম্মি করে নিয়ে আসে ২৪০ থেকে ২৫৩ জন।
নভেম্বরের সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে হামাস ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। হামাসের হাতে এখনও ১৩০ থেকে ১৪৩ ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে।
সূত্র : গার্ডিয়ান, রয়টার্স