গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৮ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫০ পিএম
ইয়াং হেংজুন ও তার স্ত্রী ইউয়ান জিয়াওলিয়াং। ছবি : সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার লেখক ইয়াং হেংজুনকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে চীন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের একটি আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া এ রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছে। ইয়াং নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
রায়ের আদেশে বলা হয়েছে, ইয়াং হেংজুন ভালো আচরণ করলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে আজীবন কারাদণ্ডে নামিয়ে আনা যেতে পারে।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, এ রায়ে অস্ট্রেলিয়ার সরকার গভীরভাবে মর্মাহত। চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কঠোর প্রতিবাদ জানাবে ক্যানবেরা।
ইয়াংয়ের বন্ধু ফেং চংয়ী ইতঃপূর্বে আলজাজিরাকে বলেছিলেন, প্রাদেশিক পর্যায়ে চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে (এস এসএস) ইয়াং ১৪ বছর কাজ করেছেন। কাজে হতাশ হয়ে তিনি গুপ্তচরী উপন্যাস লেখা শুরু করেন। ২০০০ সালে ইয়াং অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। তাকে যখন আটক করা হয় তখন তিনি নিউইয়র্কের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
২০২১ এর মে মাসে ইয়াংয়ের বিচার শুরু হয়। কিন্তু তার আইনজীবী নিয়োগের অবাধ সুযোগ ছিল না। ইয়াং কোন দেশের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি চীন।
৫৮ বছর বয়সি ইয়াং একজন ব্লগার এবং গণতন্ত্রপন্থি কর্মী। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাকে গুয়াংজু বিমানবন্দর থেকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হয়। পাঁচ বছর তাকে কোনো ধরনের বিচার ছাড়াই আটকে রাখা হয়।
সূত্র : আলজাজিরা