প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১০ পিএম
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩৭ পিএম
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু (বাঁয়ে) ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ডিসেম্বরে দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে। ছবি : সংগৃহীত
মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে ভারত। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বৈঠকের পরের দিন শনিবার দেওয়া দুই দেশের পররাষ্ট্র বিভাগের বিবৃতিতে কিছুটা আলাদা ভাষা লক্ষ করা গেছে।
মালদ্বীপ বলেছে, ভারতীয় সেনাদের প্রথম দলটি আগামী ১০ মার্চ এবং বাকিরা ১০ মের মধ্যে চলে যাবে।
অপরদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মালদ্বীপে মানবিক সেবাদানকারী ভারতীয় বিমান পরিচালনা প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পারস্পরিকভাবে কার্যকর সমাধানে ঐকমত্যে পৌঁছেছে উভয় দেশ। এখন সেনাদের জায়গায় বেসামরিক কর্মীদের পাঠানো হবে।
তথ্যমতে মালদ্বীপে ভারতের ৭৭ জন সেনা সদস্য রয়েছে। তারা দেশটির তিনটি স্থানে বিমানবন্দরে ভারতীয় বিমান চলাচলে সহায়তা করে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে বৈশ্বিক শক্তিগুলোর ব্যাপক দৌড়ঝাঁপের মাঝে সম্প্রতি মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিবেশী এই দেশটি ভারত ঘেঁষা হলেও মালদ্বীপের চীনপন্থি নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু গত নভেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। মুইজ্জুর নির্বাচনী ইশতিহারের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল ক্ষমতায় আসার পর মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
মালদ্বীপের ইন্ডিয়া ফার্স্ট নীতির অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর থেকে মালের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কে ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটে।
নির্বাচিত হওয়ার পর গত মাসে প্রথম চীন সফর শেষে দেশে ফেরার পর মালদ্বীপকে দেওয়া সামরিক সরঞ্জাম এবং ওই অঞ্চলে মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করার কাজে নিয়োজিত ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মুইজ্জু।
সূত্র : রয়টার্স, আরটি