প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:০৫ পিএম
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫১ পিএম
ইয়েমেনে হামলার জন্য উড়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান। ৪ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী রণতরিতে। ছবি : সংগৃহীত
ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের অন্তত ৩৬টি লক্ষ্যে নতুন করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ইয়েমেনের ১৩টি স্থানে এসব হামলা চালানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালাচ্ছিল হুতিরা। একটা পর্যায়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজেও হামলা চালানো শুরু করে। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রও হুতিদের সামরিক লক্ষ্যে হামলা শুরু করে। শনিবারের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যৌথভাবে আরও দুবার হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে চালিয়েছে চারবার। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে বলে শনিবারের হামলার পর নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে হুতিরা।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটিশ এবং এই অভিযানে সহায়তা প্রদানকারী অন্যান্য দেশগুলো এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক এবং বাণিজ্যিক জাহাজের পাশাপাশি লোহিত সাগরে চলাচলকারী নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে হুতিদের ক্রমাগত আক্রমণের জবাবে ইয়েমেনের ১৩টি স্থানে ৩৬টি হুতি লক্ষ্যবস্তুতে এই হামলা চালানো হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই নিখুঁত হামলার উদ্দেশ্য ছিল- বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং নিরপরাধ নাবিকদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলার জন্য হুতিদের ব্যবহৃত সক্ষমতাকে ব্যাহত ও অবনমিত করা।’
শনিবারের এই হামলায় ‘হুতিদের সু-সংরক্ষিত অস্ত্র স্টোরেজ অবকাঠামো, ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম এবং লঞ্চার, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডারগুলোর সাথে সম্পর্কিত স্থাপনাগুলোকে’ লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলেও এতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, এর আগে শনিবার পৃথকভাবে হুতিদের ছয়টি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ‘লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল’।
বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সংশ্লিষ্ট অন্তত ৮৫টি লক্ষ্যে হামলা চালানোর পরের দিন ইয়েমের এ হামলা গুরুত্বপূর্ণ। এসব হামলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্ররা স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে, নিজেদের স্বার্থের আঘাতের ভয়াবহ জবাব দেওয়া হবে।
সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি