প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০০ এএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৮ এএম
লাশ নিয়ে শোক করছে ফিলিস্তিনিরা। ২৪ জানুয়ারি গাজার খান ইউনিসে। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর প্রায় ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত হয়েছে আরও ১১৮ জন। আহত হয়েছে প্রায় ১৯০। একই সময়ে গাজায় অন্তত ১৫টি গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
তথ্যমতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ২৭ হাজার ১৯ জন। অর্থাৎ গাজার মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি নিহত হয়েছে।
একই সময়ে আহত হয়েছে ৬৬ হাজার ১৩৯ জন। স্থানচ্যুত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ, যা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ। গাজার জনসংখ্যা ২৩ থেকে ২৪ লাখ।
ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ অবকাঠামো ও ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। দুয়েকটি ছাড়া কোনো হাসপাতাল চালু নেই।
খাদ্য ও পানীয়ের তীব্র সংকট চলছে। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির মানুষ ঘাস ও দূষিত পানি খাচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনেক সংস্থা বলেছে গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।
গাজার বাইরে পশ্চিম তীরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সেখানে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে তারা। বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম তীরের জেনিন, নাবলুস ও হেবরন শহরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও দখলদারদের হাতে ৩০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে কয়েক হাজার। অনেক ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘর থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার চারজন ইসরায়েলি দখলদার নেতাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর অধিকাংশ সাধারণ মানুষ। আহত হয়ে প্রায় ৫ হাজার। হামাস ধরে নিয়ে আসে ২৪০ জনকে।
এখন ইসরায়েল ও হামাস দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি করতে চাচ্ছে। মধ্যস্থতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার। ২৮ জানুয়ারি প্যারিসে এসব দেশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। এতে যুদ্ধবিরতির যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে তাতে ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে। এখন হামাস সম্মতি দিলে তিন ধাপে তা কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কিন্তু এ মুহূর্তেও গাজার দক্ষিণে মিসরের সীমান্তে বড় ধরনের অভিযান চালাতে চাচ্ছে ইসরায়েল। এটা চুক্তিকে নড়বড়ে করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকে।
সূত্র : আলজাজিরা, আনাদোলু