নির্বাচন পূর্ব সহিংসতা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:০৫ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:০৭ পিএম
বেলুচিস্তানে সতর্ক পাহারায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে দুই দিনে অভিযান চালিয়ে ২১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে বেলুচিস্তানের মাচ ও কোলপুর শহরে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করে। পরের দিন বুধবার অভিযান শেষ হয়েছে।
অভিযানের প্রথম দিন বালুচিস্তান প্রদেশের মাচ ও কোলপুর শহরে অভিযান চালিয়ে নয়জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী রয়েছে। পরের দিন আরও ১২ জন নিহত হয়।
পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন। এর ঠিক আগেই দেশটির বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সন্ত্রাসীরা মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসী তৎপরতা নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে অভিযান শুরু করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
জানা গেছে, বুধবার বেলুচিস্তানে সন্ত্রসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য প্রাণ হারায়। আহত হয় আরও দুজন সাধারণ মানুষ।
বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েতায় পাকিস্তানি পিপল পার্টির (পিপিপি) অফিসে এবং একই প্রদেশের কলোতের মঙ্গোচরে সন্ত্রাসী হামলায় সম্প্রতি তিনজন আহত হয়।
ভিন্ন একটি ঘটনায় চমোন শহরের আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির কর্মকর্তাদের ওপর জঙ্গিরা হামলা করে। এতে জাহুর আহমেদ নামের এক কর্মকর্তা নিহত হন।
খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজাউর জেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহান জেব খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যার ফলে এনএ-৮ এবং পিকে-২২ এর নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, এসিপির নির্দেশিকা অনুসারে,পাকিস্তান সেনাবাহিনী সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী তাদের ওপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করবে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নামে কোনো ধরনের নাশকতা তারা সহ্য করবে না। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয় সেদিকে তারা সজাগ।
সূত্র: জিওনিউজ