প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫৫ এএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:০৭ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের নিহত তিন সেনা (বাঁ থেকে) সার্জেন্ট উইলিয়াম জেরোমি রিভারস, বিশেষজ্ঞ কেনেডি ল্যাডন স্যান্ডার্স ও ব্রিওনা অ্যালেক্সান্ড্রিয়া মাফেট। ছবি : সংগৃহীত
জর্ডানে একটি ছোট ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত তিন সেনার নাম প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা হলেন সার্জেন্ট উইলিয়াম জেরোমি রিভারস, বিশেষজ্ঞ কেনেডি ল্যাডন স্যান্ডার্স ও ব্রিওনা অ্যালেক্সান্ড্রিয়া মাফেট। প্রতিশোধ নিতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোরে জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের টাওয়ার ২২ নামে সেনাঘাঁটিতেও হামলা চালায় ইরাকের ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স’ গোষ্ঠী। হামলায় আরও ৩৫ জন আহত হয়েছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরুর পর ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর ১৫০টির বেশি হামলা হয়েছে। এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সেনা কিছুটা আহত হলেও নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তাই রবিবার সিরিয়া সীমান্তের কাছে ওই ড্রোন হামলায় একসঙ্গে তিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে উত্তেজনা তৈরি করেছে। সীমাহীন চাপে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলার পর বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির অনেক রাজনীতিবিদ ইরানে সরাসরি হামলা চালানোর দাবি জানিয়েছেন।
রবিবারের হামলার দায় স্বীকার করে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত হামলা চলবে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেকোনো কিছুতে হামলা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধের কোনো হুমকিই আমাদের দমাতে পারবে না।
হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কিন্তু ইরান তা অস্বীকার করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরাকের ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সকে হামলার জন্য কোনো অর্ডার দেয়নি তেহরান।
সূত্র : বিবিসি