প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৯ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৪ পিএম
ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা। ৮ জানুয়ারি। ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমার বা বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে সাগর পথে অন্য দেশে যাওয়ার পথে ২০২৩ সালে অন্তত ৫৬৯ জন রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে বা নিখোঁজ হয়েছে, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০১৪ সালে তা ছিল ৭৩০।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তথ্যমতে, ২০২৩ সালে আন্দামান সাগর বা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা ছোট ছোট জীর্ণ কাঠের নৌকাতে করেই এসব উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়েছে। মাঝপথে অনেক নৌকাডুবে গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যারা এভাবে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তার মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে এবং কম করে হলেও মিয়ানমার থেকে পালানোর চেষ্টা করে।
২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নৃশংসতার ফলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তারা কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে বসবাস করছে বাঁশ ও প্লাস্টিকে নির্মিত ক্যাম্পে।
ওদিকে ২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার শাসন করছে সেনাবাহিনী। এসব রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার সামান্যই আগ্রহ দেখিয়েছে সেখানকার সামরিক জান্তা। দেশে এসব রোহিঙ্গাকে দেখা হয় বিদেশি হিসেবে। তাদের কোনো নাগরিক অধিকার নেই। তারা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকারে পরিণত হন।
সূত্র : জাতিসংঘের ওয়েবসাইট