ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন ডিস্যান্টিস

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রন ডিস্যান্টিস। ফলে পার্টির পক্ষ থেকে ট্রাম্পের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। কারণ এখন পার্টিতে ট্রাম্পের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি। কিন্তু তার পক্ষে ট্রাম্পকে হারানো বেশ কঠিন। 

রবিবার (২১ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ডিস্যান্টিস নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। পোস্টে তিনি লেখেন, রিপাবলিকান পার্টির অধিকাংশ ভোটার ট্রাম্পকে চান, এটা আমার কাছে পরিষ্কার। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমি আরেকটি সুযোগ দিতে চাই। এ পরিস্থিতিতে আমি ট্রাম্পকে সমর্থন দিলাম। 

ডিস্যান্টিসের সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছেন, ডিস্যান্টিস ভালো গভর্নর। তার জন্য আমার শুভ কামলা রইল। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে চাই। 

১৫ জানুয়ারি আইওয়া প্রদেশে রিপাবলিকান ককাস বা রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের প্রথম আঞ্চলিক পর্বে নিকি হ্যালি ও রন ডিস্যান্টিসকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন ট্রাম্প। সেখানে দ্বিতীয় হন রন ডিস্যান্টিস। হ্যালি হন তৃতীয়। 

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে অনুষ্ঠিত হবে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের আরেকটি পর্ব প্রাইমারি। এর মাত্র দুই দিন আগে ডিস্যান্টিসের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাকে নানাভাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, এতে হ্যালির কাছে ডিস্যান্টিসের হেরে যাওয়ার যথেষ্ট শঙ্কা ছিল। তাই তার আগেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। 

বিভিন্ন জরিপফল বলছে, নিউ হ্যাম্পশায়ারে অন্তত ১০ শতাংশ ভোটে নিকি হ্যালিকে হারাবেন ট্রাম্প।

সাউথ ক্যারোলাইনাতেও ট্রাম্প জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে হ্যালির চেয়ে এগিয়ে আছেন। সেখানে ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই অঙ্গরাজ্যে ২০১১-২০১৭ মেয়াদে গভর্নর ছিলেন নিকি হ্যালি। সেখানে পরাজিত হলে হ্যালিও সম্ভবত প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হবেন। 

তবে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে হ্যালির ভাইস-প্রেসিডেন্ট বা রানিং ম্যাট হওয়ার সম্ভাবন রয়েছে। কিন্তু হ্যালি এ ধরনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) এক জনসভায় হ্যালি বলেছেন, আমি কোনো ব্যক্তির ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে চাই না। এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না। 

সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, গার্ডিয়ান