প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:২৯ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৪ পিএম
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে সাইবার হামলা চালিয়ে প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় লাজারাস। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লুটকারী উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার গ্রুপ লাজারাস এখন আরও শক্তিশালী। আরও কিছু হ্যাকার গ্রুপের সঙ্গে মিলে তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংকিং ও মাদক পাচারকারীদের সাথে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। নিজেদের মধ্যে অর্থ ভাগাভাগির তারা ক্যাসিনো এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি বিনিময়ের প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক অফিস ইউএনওডিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেকং অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার লাজারাসসহ আরও কিছু হ্যাকার গ্রুপের বেশকিছু তৎপরতা সম্প্রতি আমাদের বিশেষজ্ঞদের চোখে পড়েছে। মেকং বলতে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস ও কম্বোডিয়াকে বোঝায়।
ইউএনওডিসি বলেছে, তারা বিভিন্ন হ্যাকিংয়ের তথ্য ও ব্লকচেইন ডাটা বিশ্লেষণ করে এসব কর্মকাণ্ড শনাক্ত করেছে।
এ বিষয়ে জেনেভায় জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়ান মিশনের এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কর্মকর্তা বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। এর আগে লাজারাসকে নিয়ে যেসব প্রতিবেদন করা হয়েছে তার সবটাই জল্পনা এবং মিথ্যা তথ্য।
ইউএনওডিসির দাবি, লাজারাস গ্রুপ উত্তর কোরিয়ার প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার ছত্রছায়া থেকে কাজ করে। গ্রুপটি উচ্চ পর্যায়ের কিছু সাইবার হামলা, মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত। উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের চুরি করা অর্থ দেশটির অস্ত্র খাতে বিনিয়োগ করা হয়।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাজারাস বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে সাইবার হামলা চালিয়ে প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার লুট করে নেয়। এ অর্থ লুটের ক্ষেত্রের ফিলিপাইনের অনুমোদিত কিছু ক্যাসিনো ও জাঙ্কেট লাজারাসকে সহায়তা করেছিল।
ইউএনওডিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস রয়টার্সকে বলেন, ক্যাসিনো এবং ক্রিপ্টো কারেন্সির বিস্তার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাংগঠনিক অপরাধ চক্রগুলোকে শক্তিশালী করেছে। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই।
সূত্র : ইউএনওডিসি ওয়েবসাইট, রয়টার্স