প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:২৪ পিএম
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:২২ পিএম
ছেলেকে কোলে নিয়ে সূচনা শেঠ। ছবি : সংগৃহীত
বেঙ্গালুরুর মাইন্ডফুল এআই ল্যাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সূচনা শেঠ চার বছরের ছেলেকে হত্যা করে সবাইকে হতভম্ব করে দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এবার হোটেল রুম থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চিরকুট।
উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা, আমার স্বামীকে আমার সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া নিয়ে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেটি আমি মেনে নিতে পারছি না।
চিরকুটটি কয়েক দিন আগে লেখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এটি ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে হাতের লেখা পরীক্ষা করে দেখার জন্য। চিরকুটের হাতের লেখা সূচনার কি না, সেটিই দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
একটি ট্যাক্সিক্যাবে করে গোয়ায় যাওয়ার পথে কর্নাটকে ছেলের মরদেহসহ ধরা পড়া সূচনাকে ট্রানজিট রিমান্ডে গোয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছয় দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে তাকে।
জেরায় জানা গেছে, দাম্পত্য সমস্যায় জর্জরিত সূচনা ও তার স্বামী বেঙ্কটরামনের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা শেষ পর্বে পৌঁছেছে। ২০১০ সালে বিয়ে হয় তাদের। পরে ২০১৯ সালে তাদের কোলজুড়ে আসে ছেলেসন্তান। ২০২১ সাল থেকে আলাদা থাকছিলেন সূচনা ও বেঙ্কট। গত বছর আগস্টে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করেন তিনি।
অভিযোগ ছিল, বেঙ্কট ছেলেকে ও তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন। পাশাপাশি, স্বামীর থেকে প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা খোরপোশের দাবিও করেন সূচনা। তিনি আদালতে জানান, তার স্বামী বছরে কোটি টাকারও বেশি অর্থ উপার্জন করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর মামলা চলাকালে প্রতি মাসে সূচনাকে ২০ হাজার টাকা করে খোরপোশ দিতে বেঙ্কটকে নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি সূচনার বাড়িতে ঢুকতে, ফোন বা মেসেজ করে যোগাযোগ রাখতে নিষেধ করা হয়। একই সঙ্গে প্রতি রবিবার ছেলের সঙ্গে বাবাকে দেখা করার অনুমতিও দেন আদালত। সম্ভবত আদালতের এই রায়েই ভেঙে পড়েছিলেন সূচনা।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি