জাপানে ভূমিকম্প
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৪ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৫ পিএম
জাপানে ১ জানুয়ারির ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২৪২ জন নিখোঁজ রয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
জাপানের ওয়াজিমা শহরে নববর্ষের প্রথম দিনে আঘাত হানা ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০-এ। এখনও নিখোঁজ আছে ২৪২ জন। ঘর-বাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি।
নিখোঁজ ২৪২ জনের সন্ধানে শনিবারে (৬ জানুয়ারি) উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে অংশ নেওয়া সেনার সংখ্যা দ্বিগুণ করে প্রায় ৪ হাজার ৬০০-এ উন্নীত করা হয়েছে।
দেশটির সুজু এবং ওয়াজিমা শহরে এখনো অনেক লোক ধসে পড়া বাড়িঘরের নিচে আটকা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । ওয়াজিমা শহরের অধিকাংশ বাড়িঘর কাঠের তৈরি। এসব বাড়িঘর শক্তিশালী ভূমিকম্প সহনশীল না হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
জাপানের ওয়াজিমা শহরে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে করে সুনামির আশঙ্কা করা হয়েছিল। কারণ উপকূলের প্রায় ২৯৬ একর জমি সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত হয়েছিল। ভূমিকম্পের কারণে হোকুরিকু প্রদেশের প্রায় ২৩ হাজার বাড়ি এখনো বিদ্যুতহীন রয়েছে।
জাপানে আট বছরের মধ্যে শনিবারের ভূমিকম্পটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ২০১৬ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের কুমামোটোতে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছিল।
পূর্বাভাস করেছিল একটি সংস্থা
নার্ভের সমাজমাধ্যম এক্সের (টুইটার) মাধ্যমে জাপানে দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়ে আসছে। নার্ভের এক্স অ্যাকাউন্ট জাপানে বিপুল জনপ্রিয়। দুর্যোগের তথ্যের নার্ভের তথ্যের উপর নির্ভর করে দেশটির মানুষ। ২০১১ সালের ভূমিকম্প এবং সুনামির পূর্বাভাস করে জনপ্রিয়তার চূড়ায় চলে যায় নার্ভ।
২০১০ সালে ১৯ বছর বয়সী ডাইকি ইশিমোরির নার্ভের এক্স অ্যাকাউন্ট খুলেন। বিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইশিমোরি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছিলাম দুর্যোগের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য শুধু টিভি এবং রেডিও যথেষ্ট না। আমাদের অন্য উপায় থাকা দরকার।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি,