প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪৬ এএম
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫৫ এএম
হামলায় ধ্বংস হওয়া গাড়ি। ছবি : সংগৃহীত
ইরানে প্রয়াত শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জোড়া বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) আইএস সমাজমাধ্যম টেলিগ্রামে একটি পোস্টে ওই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইএসের দুই সদস্য ভিড়ের মধ্যে প্রবেশ করে দুটি বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটায়।
বিস্ফোরণে অন্তত ৮৪ জন নিহত হয়। তবে শুরুতে নিহত ১০৩ বলা হয়েছিল। পরে বলা হয়েছিল ৯৫।
বিস্ফোরণে আহত হয় অন্তত ২৮৪ জন। শুরুতে তা ২১১ জন বলা হয়েছিল।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর কেরমানে সোলাইমানির সমাধির পাশে অনুষ্ঠান চলাকালে প্রায় ২০ মিনিটের ব্যবধানে দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরের পাশে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিল।
বিস্ফোরণের জন্য শুরুতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছিল ইরান। তবে বিস্ফোরণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন। তার পরই আইএসের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি এলো।
ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার কেরমানে সাংবাদিকদের বলেছেন, হামলাকারীদের ওপর কঠিন প্রতিশোধ নেবে ইরান। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড এ হামলাকে কাপুরুষোচিত উল্লেখ করে বলেছে, এ হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানে নিরাপত্তাহীনতা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিও বিস্ফোরণের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
হামলার জেরে কেরমানসহ ইরানের এক ডজন শহরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ধ্বংস কামনা করে স্লোগান দিচ্ছে বিক্ষুব্ধরা।
ইরানি সরকার শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। বিস্ফোরণে নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে এ বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে ।
কাসেম সোলাইমানি ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের একটি বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হন। তিনি ছিলেন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান।
সূত্র : রয়টার্স