প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৭ পিএম
সংলাপে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করতে আহ্বান জানিয়েছে ক্রাইসিস গ্রুপ। ছবি : সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। এ অবস্থায় নির্বাচন স্থগিতের সুযোগ নেই। কিন্তু বিএনপি ও তার শরিকদের বয়কটের মধ্যে আওয়ামী লীগ একটি একতরফা নির্বাচন করে টিকে থাকতে চেষ্টা করলে বাংলাদেশে সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি আওয়ামী লীগের মধ্যেও মতবিরোধ দেখা দিতে পারে।
তাই নির্বাচনের পর প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে ব্রাসেলসভিত্তিক এনজিও ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ’। সংলাপে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে পারে বলে মনে করে গ্রুপটি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ পরামর্শ দিয়েছে ক্রাইসিস গ্রুপ। প্রতিবেদনটির নাম ‘বিয়ন্ড দ্য ইলেকশন : ওভারকামিং বাংলাদেশ’স পলিটিক্যাল ডেডলক।’
প্রতিবেদনটির সারমর্মে বলা হয়, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও পুলিশসহ রাষ্ট্রের সবকটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রভাব বাড়াতে থাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালের পর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুটি নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
এবার টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচন আয়োজন করছে দলটি। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার শরিকরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তারা অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিশাল সমাবেশ করে বিএনপি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানির পর দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু হয়। কিন্তু তারপরও বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
এমন একটা পরিস্থিতিতে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করলে বাংলাদেশে সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এ ধরনের সহিংসতা এড়াতে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সংলাপ শুরু করতে হবে। উভয় দলকে ছাড় দিতে হবে।
নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যাতে সংলাপে বসে, এ জন্য বাংলাদেশের বিদেশি অংশীদার ও মিত্রদেরও উদ্যোগী হতে হবে। বিশেষ করে প্রতিবেশী ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে এ ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
সূত্র : ক্রইসিস গ্রুপের ওয়েবসাইট