হিন্ডেনবার্গ মামলা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:২২ পিএম
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৩ পিএম
আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি। ছবি : সংগৃহীত
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ মামলায় চলমান তদন্তগুলো সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি) থেকে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের (সিট) হাতে দেওয়ার আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সিটের হাত থেকে রেহাই পেয়ে মহাখুশি আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ বুধবার (৩ জানুয়ারি) এ রায় দেন। বেঞ্চ বলেছেন, সেবি থেকে সিটে এই মামলা স্থানান্তর করার কোনো ভিত্তি নেই। কারণ এর মামলার অভিযোগ তদন্ত করার জন্য সেবি যথেষ্ট যোগ্য।
অন্যদিকে মামলার বাকি অভিযোগের তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
হিন্ডেনবার্গের অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত ২৪টি অভিযোগের মধ্যে ২০টির তদন্ত শেষ করেছে সেবি। বাকি দুই অভিযোগের তদন্ত শেষ করতে সেবিকে তিন মাস সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
হিন্ডেনবার্গ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্ট তিনি লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় দেখিয়ে দিচ্ছে শেষ পর্যন্ত সত্যেরই জয় হয়। সত্যমেব জয়তে। যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ভারতের এগিয়ে চলার প্রশ্নে আমাদের বিনম্র অবদান অব্যাহত থাকবে। জয় হিন্দ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা ও শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আাদানি গ্রুপ হিসাব জালিয়াতি, অর্থপাচার ও কর ফাঁকির সঙ্গে জড়িত। তারা বছরের পর বছর ধরে যেসব অনৈতিক কাজ করেছে, বিশ্বের কর্পোরেট ইতিহাসে এ রকম দ্বিতীয় কোনো নজির নেই।
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্যে ধস নামে। এ ঘটনার পর ভারতে কর্পোরেট সুশাসনের শিথিলতার বিষয়টিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উঠে আসে। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ভারতের রাজনীতি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গৌতম আদানিকে বিশেষ প্রশ্রয় দেন। বিনিময়ে ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) মোটা অঙ্কের অনুদান দেয় আদানি গ্রুপ।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, স্ক্রলডটকম