প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৪ পিএম
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৫ পিএম
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বুরকিনা ফাসোর জান্তাপ্রধান ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে। গত জুলাইয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে। ছবি : সংগৃহীত
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে ৩০ বছরের বেশি সময় পর দূতাবাস খুলেছে রাশিয়া। ২০২২ সালের সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছিল মস্কো। তারই ধারাবাহিকতায় দেশটিতে দূতাবাস পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিলো প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন।
জানা গেছে, বুরকিনা ফাসো সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। দেশটির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সবকিছু দেখতো ফ্রান্স। কিন্তু ২০২২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ চিত্র দ্রুত বদলাতে শুরু করে। বাড়তে থাকে রাশিয়ার আধিপত্য।
সামরিক অভ্যুত্থানের বুরকিনা ফাসোর জান্তা সরকার ফরাসি কূটনীতিকদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে। দেশটিতে থাকা ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটিও বন্ধ করে দিয়েছে।
তথ্যমতে, প্রেসিডেন্ট পুতিন চলতি বছরের জুলাইয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়া-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনে বুরকিনা ফাসোতে দূতাবাস পুনরায় খোলার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
সোভিয়েত রাশিয়া বিলুপ্ত ঘোষণার পর ১৯৯২ সালে বুরকিনা ফাসোতে রুশ দূতাবাসটি বন্ধ হয়ে যায়। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মস্কো আফ্রিকায় তার সম্পৃক্ততা কমিয়ে আনে। এরই জেরে সেসময় বুরকিনা ফাসোতে রুশ দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাদুগুতে এক অনুষ্ঠানে দূতাবাসটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। তবে রাশিয়া এখনও দেশটিতে রুশ মিশনের প্রধানের নাম ঘোষণা করেনি।
সূত্র : বিবিসি