প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:১৭ এএম
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৪৩ এএম
লোহিত সাগরে ইয়েমেনের প্রধান সমুদ্রবন্দর হোদেইদাহ। বন্দরটি হুতিদের নিয়ন্ত্রণে। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের একটি সমুদ্রবন্দরে মঙ্গলবার ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতিরা। একই সঙ্গে লোহিত সাগরে ইসরায়েলের একটি বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালানোর দাবি করেছে ইরানের সহায়তাপুষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধোর জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ তৈরি করতে এসব হামলা চালাচ্ছে হুতিরা।
হামলার পর মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেন, আমরা ইসরায়েলের বন্দর শহর ইলাত এবং ইসরায়েল-অধিকৃত ফিলিস্তিনের অন্য এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছি। তা ছাড়া আামদের দেওয়া তিনটি সতর্কতা সংকেত অগ্রাহ্য করার পর লোহিত সাগরে এমএসসি ইউনাইটেডের একটি জাহাজ লক্ষ করেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
এমএসসি ইউনাইটেড অষ্টম নামে জাহাজটি হামলার শিকার হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জাহাজটি সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ বন্দর থেকে পাকিস্তানের করাচি যাচ্ছিল।
শিপিং কোম্পানিটি আরও বলেছে, তারা হামলার ঘটনাটি পর্যালোচনা করছে। এ ছাড়া লোহিত সাগরে থাকা মার্কিন নেতৃত্বাধীন নৌজোটকে ঘটনাটি জানিয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর গুজরাট উপকূলে ইসরায়েলের মালিকানাধীন লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি ক্যাম প্লুটো নামে একটি জাহাজে ড্রোন হামলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকেই এ হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু ইরান এ দাবি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় আরব সাগরের মুম্বাই উপকূলে সোমবার তিনটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত।
ক্যাম প্লুটোয় হামলাকারীদের প্রয়োজনে সমুদ্রের তলা থেকে খুঁজে বের করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা দক্ষিণ লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত হুতি বিদ্রোহীরা ৩৫টির বেশি দেশের সঙ্গে জড়িত ১০টি বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ করে ১০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। অধিকাংশ হামলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হলেও কিছু ড্রোন তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
লোহিত সাগরে হুতির হামলা মোকাবিলায় সম্প্রতি ১০ দেশ নিয়ে একটি জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জোটে বাহরাইন ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের আর কোনো দেশ যোগ দেয়নি। অন্যদিকে স্পেনসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্র দেশ এ ধরনের জোট মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও জটিল করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুতিরা।
সূত্র : আলজাজিরা, এনডিটিভি