প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:১০ এএম
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:১৯ এএম
নিহতদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে মোমবাতি জ্বালানো হয়। ছবি : সংগৃহীত
চেক প্রজাতন্ত্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২৫ জন। পরে হামলাকারী নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে দেশটির রাজধানী প্রাগের চার্লস ইউনিভার্সিটিতে ভয়াবহ এ বন্দুক হামলা ঘটে।
এর আগে দেশটিতে একক বন্দুকধারীর হামলায় এত হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তা ছাড়া এটি ইউরোপের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলা।
ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) এক দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পিতর পাভেল।
দেশটির পুলিশপ্রধান মার্টিন ভন্ড্রাসেক জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশ এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় ব্যাপক অভিযান। পরে ইউনিভার্সিটির ভেতরে অস্ত্রের একটি বড় মজুদ আবিষ্কার করা হয়। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে বন্দুকধারীর হোস্টউন এলাকার বাড়ি থেকে তার বাবাকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
হামলাকারী চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের একজন শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বাইরে থেকে প্রাগে এসেছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের চতুর্থ তলা থেকে গুলিবর্ষণ শুরু করেন।
পুলিশের ধারণা, বন্দুকধারী সম্ভবত ওই ১৪ জনকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। তবে তিনি পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভন্ড্রাসেক জানিয়েছেন, বন্দুকধারী ওই শিক্ষার্থী খুবই মেধাবী ছিলেন ও তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। কিন্তু ঠিক কী কারণে তিনি এমন কাজ করেছেন এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তারা অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেয়েছেন রাশিয়ার একটি সন্ত্রাসী হামলায় অনুপ্রাণিত হয়ে ওই শিক্ষার্থী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। পুলিশপ্রধান ভন্ড্রাসেক জানিয়েছেন, বন্দুকধারী শিক্ষার্থীর কাছে বেশ কয়েকটি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। যার শুরুটা হয়েছিল ক্লাদনো অঞ্চলে আর শেষ হয়েছে প্রাগে।
গত সপ্তাহের আরেকটি হত্যাকাণ্ডের জন্য এই শিক্ষার্থীকেই সন্দেহ করছে পুলিশ। পুলিশপ্রধান জানান, সপ্তাহখানেক আগে প্রাগের বাইরের একটি অঞ্চলে এক নারী ও তার দুই মাস বয়সি সন্তানকে একটি জঙ্গলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় একই শিক্ষার্থী জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সূত্র : গার্ডিয়ান, রয়টার্স