প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১১:৫১ এএম
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১২:৫০ পিএম
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার সাবমেরিন-চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনী। ছবি : সংগৃহীত
উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালানোর আশঙ্কায় শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় পৌঁছেছে বিশ্ব।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এ দাবি করেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা কয়েক মাস ধরে সতর্ক করছিলেন, পিয়ংইয়ং পাঁচ বছরের স্থগিতাদেশের পর ফের পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে; যার মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া উন্নত অস্ত্রের সক্ষমতার প্রদর্শনী করবে।
রাফায়েল গ্রসি বলেন, ‘প্রত্যেকেই সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা নিয়ে আতঙ্কিত। কারণ, এ পরীক্ষা চালানোর সময় এগিয়ে আসছে; যা নিয়ে সবাই ভীষণ উদ্বিগ্ন। ওই পরীক্ষা চালানোর মধ্য দিয়ে তারা তাদের প্রস্তুতি বাড়াচ্ছে এবং তাদের অস্ত্রাগার আরও সুসজ্জিত করছে।’
‘তাই আমরা বিষয়গুলো খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করছি এমন কিছু ঘটবে না। তবে পূর্বানুমানগুলো দুর্ভাগ্যবশত আমাদের আশার বিপরীত দিকেই এগোচ্ছে,’ বলেন আইএইএ মহাপরিচালক।
পিয়ংইয়ংয়ের সম্প্রতি প্রদর্শিত স্বল্প ও দীর্ঘপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান ঘোষণা দেয়—উত্তর কোরিয়া যদি পারমাণবিক অস্ত্রের সপ্তম পরীক্ষা চালায় তবে তারা নজিরবিহীন প্রতিক্রিয়া জানান হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিউন-ডং টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, উত্তর কোরিয়া সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালালে ব্যাপাক মাত্রার প্রতিক্রিয়া জানানো হবে এবং তিন মিত্র দেশ এ বিষয়ে একমত হয়েছে।
তবে মহাপরিচালক গ্রসির ধারণা, পিয়ংইয়ং এখনই ওই পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি দেখতে পাচ্ছি, পাশাপাশি আরও অনেক কিছুই নজরে রেখেছি, তবে তার কোনোটাই প্রমাণ করছে না যে এখনই পরীক্ষা চালাবে উত্তর কোরিয়া।’
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক নতুন মূল্যায়নে পেন্টাগন বলেছে, ওয়াশিংটনের স্বার্থ বা মিত্রদের ওপর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলা দেশটির নেতা কিম জং উনের শাসনের শেষ পরিণতি ঢেকে আনবে।
এতে আরও বলা হয়, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে কিম সরকার টিকে থাকতে পারবে না।
এসবের প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া বারবার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার হুমকির জবাবেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে পিয়ংইয়ং। কারণ, উভয় দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেও ওয়াশিংটন ও সিউল যৌথ সামরিক ও নৌ মহড়া পরিচালনা করে গেছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার উত্তর কোরিয়া আবারও দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
প্রবা/এনএস/জেও