প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:১৯ পিএম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৫৫ পিএম
জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিবাদ। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত বৈধ বলে রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এই রায় দেন।
জম্মু-কাশ্মির ভারতের আর দশটি রাজ্যের মতো ছিল না। এটি ছিল বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। কিন্তু ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট এই রাজ্যের জন্য নির্ধারিত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজ করে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অনুমোদনের পর চূড়ান্ত পর্যায়ে রাষ্ট্রপতিও সেই বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর সোমবার সেই সব মামলার রায় হয়।
সোমবার শুনানিতে বলা হয়, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজের রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ছিল না। তাই তা বৈধ। কারণ, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ছিল এক অস্থায়ী ব্যবস্থা।
রায়ে আরও বলা হয়, ভারতে অন্তর্ভুক্তির সময়েই জম্মু-কাশ্মির তার সার্বভৌমত্বের অধিকার হারিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ এখন থেকে ইতিহাস।
বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধীনে আনা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা বাতিল করে যত দ্রুত সম্ভব জম্মু-কাশ্মিরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে বলা হয়েছে। রায়ে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু-কাশ্মিরে বিধানসভার নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ নির্বাচনের আগেই জম্মু-কাশ্মিরকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা করতে হবে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে জম্মু-কাশ্মির রাজ্যে বিধানসভার শেষ নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর জম্মু-কাশ্মিরের সেই বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়। সেই অর্থে গত ৯ বছর সেখানে বিধানসভার ভোট হয়নি।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পাশাপাশি অঞ্চলটিকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়। গড়ে তোলা হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। একটি জম্মু-কাশ্মির, দ্বিতীয়টি লাদাখ।
উচ্চ আদালতের রায়ে জম্মু-কাশ্মিরকে স্বতন্ত্র রাজ্য করার নির্দেশ দেওয়া হলেও লাদাখকে কেন্দ্রের অধীনেই রাখা বৈধ বলে মত দিয়েছেন আদালত।
সূত্র : এনডিটিভি, স্ক্রলডটইন