প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:২৭ পিএম
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৪১ পিএম
ডেনমার্কের পর কোরআন শরিফ পোড়ানো বা অবমাননা বিষয়ে বিধি-নিষিধ আরোপের চিন্তা-ভাবনা করছে সুইডেন। ছবি : সংগৃহীত
কোরআন শরিফ পোড়ানো বা অবমাননা নিষিদ্ধ করেছে ডেনমার্ক। দেশটির পার্লামেন্ট বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এ বিষয়ক একটি আইন পাস করেছে।
কোরআন শরিফ পোড়ানো বা অবমাননা নিষিদ্ধবিষয়ক আইনটি পাস করতে বৃহস্পতিবার ডেনমার্কের পাল্টামেন্টে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তর্ক-বিতর্ক হয়। এরপর ভোটাভুটি হয়। আইনটির পক্ষে ভোট দেন ৯৪ জন সংসদসদস্য। বিপক্ষে ৭৭ জন।
ফলে এখন থেকে দেশটিতে জনপরিসরে কোরআন শরিফ পোড়ালে বা অবমাননা করলে জরিমানা গুনতে হবে। অভিযুক্তের সর্বোচ্চ দুই বছর জেলও হতে পারে।
ডেনমার্কের আইনমন্ত্রী পিটার হামেলগার্ড পার্লামেন্টকে জানান, গত জুলাই থেকে কোরআন পোড়ানো বা বিভিন্ন মুসলিম দেশের পতাকা পোড়ানোর জন্য ৫০০ এর বেশি বিক্ষোভ আয়োজনের অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে। এ ধরনের বিক্ষোভের ফলে অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। আমাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঝুঁকিতে পড়ছে আমাদের নিরাপত্তা।
ডেনমার্কের সংবিধানমতে, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে যে কোনো নাগরিক যে কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়াতে পারেন। এটাকে দেশটিতে বাকস্বাধীনতা হিসেবে দেখা হয়।
চলতি বছর ডেনমার্কে বেশ কয়েকবার জনপরিসরে কোরআন পোড়ানো বা অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপের আরেক দেশ সুইডেনেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে মুসলিম দেশগুলোতে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ফলে চাপে পড়ে ডেনমার্ক ও সুইডেন।
ডেনমার্কের অভিবাসনবিরোধী রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটস পার্টির নেতা ইঙ্গার স্টোজবার্গ কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করার সমালোচনা করেছেন। তিনি মনে করেন, এ ধরনের আইন করায় ইতিহাস একদিন তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। কারণ বাকস্বাধীনতা বলতে আমরা কী মনে করি তা আমাদের দ্বারা নির্ধারিত না হয়ে বাহিরের চাপে নির্ধারিত হয়েছে।
কিন্তু ডেনমার্কের ক্ষমতাসীন মধ্যপন্থি জোট সরকার মনে করে, কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করার ফলে ডেনমার্কের বাকস্বাধীনতা তেমন একটা সংকুচিত হবে না। কারণ ধর্মকে সমালোচনা করার আরও দশটা বৈধ পথ রয়েছে।
সুইডেনের সংবিধানেও প্রকাশ্যে ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো বা অবমাননা করার অনুমতি রয়েছে। নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে দেশটিও কোরআন পোড়ানো বা অবমাননা বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করা নিয়ে চিন্তাÑভাবনা করছে।
সূত্র : রয়টার্স