প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:০৮ পিএম
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:০১ পিএম
লক্ষ্য করা হয়েছিল সন্ত্রাসীদের, কিন্তু ভুক্তভোগী হলো সাধারণ মানুষ। ছবি : সংগৃহীত
নাইজেরিয়ায় সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় অন্তত ১২০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। আরও মরদেহ উদ্ধারের শঙ্কা রয়ে গেছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির কাদুনা রাজ্যের ইগাবি কাউন্সিলের তুদুন বিরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বিদ্রোহী ও দস্যু অধ্যুষিত উত্তর অঞ্চলেরও কাদুনা রাজ্যের ইগাবি কাউন্সিলের তুদুন বিরি গ্রামে কয়েকটি ড্রোন (মানুষবিহীন বিমান) দিয়ে হামলা চালায় নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী। কিন্তু ড্রোনগুলো ভুলক্রমে একটি ধর্মীয় সভায় হামলা চালায়। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
হামলায় কতজন নিহত হয়েছে তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের স্থানীয় কার্যালয়ের তথ্যমতে, রবিবারের হামলায় অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের অনেক শিশু। নিজেদের কর্মীদের বরাতে সংস্থাটি এ দাবি করেছে।
তবে মঙ্গলবার নাইজেরিয়ার জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, মোট ৮৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।
নাইজেরিয়ায় ড্রোন বা বিমান হামলা নতুন কোনো ঘটনা নয়। এ ধরনের হামলায় ইতঃপূর্বে সন্ত্রাসীদের পরিবর্তে সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভুল ও ড্রোন পরিচালনায় ত্রুটির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়া সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় দেশটির বোর্নোর রাজ্যের ডাগলুন শহরে অন্তত ২০ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে দেশটির সেনাবাহিনী অন্তত ১৪টি বোমা হামলা চালিয়েছে। প্রায় সব ঘটনা ঘটেছে আবাসিক এলাকায়।
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য অঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরে চরমপন্থিরা তৎপর রয়েছে। তারা গ্রামে আচমকা হামলা চালিয়ে সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। সুযোগ পেলে সামরিক বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। মানুষ জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে।
সূত্র : আলজাজিরা