প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:২৭ পিএম
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:০১ পিএম
গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের পর উদযাপন পার্টিতে উত্তর কোরিয়ার জাতীয় মহাকাশ প্রযুক্তি প্রশাসনের (নাটা) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিম উং উন। ২৩ নভেম্বর তোলা। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রধান কার্যালয় ও বাসভবন হোয়াইট হাউস, দেশটির সামরিক সদর দপ্তর পেন্টাগনের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা স্যাটেলাইট। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সেসব ছবি দেখেছেন। এবং নিজেদের মহাশূন্য অভিযানের তৎপরতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এসব খবর জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে এখনও মন্তব্য করেনি। অন্য দিকে দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার দাবির সত্যতা এখনও যাচাই করতে পারেনি।
কেসিএনএ জানিয়েছে, কৃত্রিম উপগ্রহটি পিয়ংইয়ংয়ের প্রধান প্রধান লক্ষ্যবস্তু অঞ্চলের ছবি পাঠাচ্ছে। এসব লক্ষ্যবস্তু অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল আছে। আছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি। অন্য ছবির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামের অ্যান্ডারসেন বিমানঘাঁটির স্যাটেলাইট ছবি দেখেছেন কিম জং উন। তিনি নরফোক ও নিউপোর্টের মার্কিন শিপইয়ার্ড, বিমান ঘাঁটির স্যাটেলাইট ছবিও দেখেছেন। সেখানে মোট চারটি পারমাণবিক-চালিত বিমানবাহী মার্কিন রণতরি দেখা গেছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের একটি বিমানবাহী রণতরিও ছবিতে দেখা গেছে।
২২ নভেম্বর মহাশূন্যের কক্ষপথে একটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করার দাবি করে উত্তর কোরিয়া। এ ঘোষণার পরপরই দেশটির সঙ্গে ২০১৮ সালে করা একটি সামরিক চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। চুক্তিতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমানোর কথা বলা হয়েছিল।
তখন উত্তর কোরিয়া বলছে, কোরীয় উপদ্বীপ ও তার আশপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কর্মকাণ্ড নজরদারি করার জন্য এ ধরনের গোয়েন্দা স্যাটেলাইট দরকার ছিল। আগামীতে তারা এ ধরনের আরও গোয়েন্দা স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, রাশিয়া থেকে পাওয়া প্রযুক্তি দিয়েই সর্বশেষ স্যাটেলাইট ও রকেট নির্মাণ করেছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া এ দাবি অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে সিউলের দাবির সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যাচাই করতে পারেনি।
সূত্র : গার্ডিয়ান, আরটি