ঢাকায় দূতাবাস বন্ধ করল উত্তর কোরিয়া, সম্পর্কে প্রভাব না পড়ার দাবি

বাংলাদেশে দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করেছে উত্তর কোরিয়া। এখন থেকে ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত নিজেদের দূতাবাস থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিষয়গুলো তদারকি করবে দেশটি।  

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উত্তর কোরিয়াবিষয়ক ওয়েবসাইট এনকে নিউজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছে। 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়াবিষয়ক মহাপরিচালক তাওফিক হাসান এনকে নিউজকে বলেছেন, আরও উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং রিলোকেশনের জন্যই উত্তর কোরিয়া বাংলাদেশে তাদের দূতাবাস বন্ধ করেছে। এ অঞ্চলে নেপাল ও বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ভবিষ্যতে আবার হয়তো উত্তর কোরিয়া বাংলাদেশে দূতাবাস খুলতেও পারে।

ঢাকায় নিয়োজিত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পাক সং ওপি ও দেশটির আরও তিন কূটনীতিক ২০ নভেম্বর ঢাকা ছেড়েছেন। তারা উত্তর কোরিয়া না গিয়ে চীনের গুয়াংজু প্রদেশে গেছেন। 

তথ্যমতে, অক্টোবরের শেষ থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে দূতাবাস বন্ধ করেছে উত্তর কোরিয়া। বাকি দেশগুলো হলো স্পেন, হংকং, উগান্ডা, অ্যাঙ্গোলা এবং নেপাল। বাংলাদেশের মতো নেপালের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম দিল্লি থেকে পরিচালনা করবে উত্তর কোরিয়া। 

দূতাবাস বন্ধ করায় ঢাকা-পিয়ংইয়য়ের সম্পর্কে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তাওফিক হাসান। কারণ দুই দেশের মধ্যে তেমন কোনো বাণিজ্যিক বা অর্থনৈতিক সম্পর্ক নেই। 

চলতি মাসের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, পররাষ্ট্রনীতির অংশ হিসেবে বিশ্বের দেশে দেশে দূতাবাস বন্ধ করছে পিয়ংইয়ং। একই সঙ্গে কিছু নতুন দেশে নতুন করে দূতাবাস খোলা হবে। 

গত আগস্টে নিকারাগুয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো জানান, আমাদের দেশে একটি দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা করছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে দূতাবাস খোলা হয়নি। 

বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে উত্তর কোরিয়ায় দূতাবাস খোলে। কিন্তু বর্তমানে উত্তর কোরিয়ায় বাংলাদেশে দূতাবাস নেই। বেইজিং থেকেই উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে ঢাকা। 

সূত্র : এনকে নিউজ