প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৪৪ এএম
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১২:০২ পিএম
(বাঁ থেকে) হিশাম আওয়ারতানি, তাহসিন আহমেদ ও কিন্নান আবদালহামিদ। ফিলিস্তিনের এ তিন শিক্ষার্থী শনিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কাছে গুলিবিদ্ধ হন। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ভের্মন্ট রাজ্যের বার্লিংটন শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশে ফিলিস্তিনের তিন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি তাদের গুলি করে।
গুলিবিদ্ধ তিন শিক্ষার্থীর নাম হিশাম আওয়ারতানি, তাহসিন আহমেদ ও কিন্নান আবদালহামিদ। হিশামের পেছনে ও তাহসিনের বুকে গুলি লেগেছে। তাদের আইসিওতে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্নান প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন।
গুলিবিদ্ধরা যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা ফ্রেন্ডস স্কুলের স্নাতক শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান।
হামলাকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসেবে তদন্ত করার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভুক্তভোগী ওই তিন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর পরিবার। এক বিবৃতিতে তিন শিক্ষার্থীর পরিবার দাবি জানায়, এ হামলাকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসেবে বিবেচনাসহ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানাই। হামলাকারীকে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমরা স্বস্তি পাব না।
রামাল্লা ফ্রেন্ডস স্কুল এক বিবৃতিতে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের তিন স্নাতক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ।
ফিলিস্তিনি তিন শিক্ষার্থীকে কেন গুলি করা হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। কারণ এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এটিকে ‘ঘৃণামূলক অপরাধ’ হিসেবে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে আমেরিকান-আরব অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন কমিটি (এডিসি) এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা যতটা জানতে পেরেছি ওই তিন তরুণ ঘটনার সময় গলায় কাইফা বা ফিলিস্তিনি মুক্তিসংগ্রামের প্রতীকে পরিণত হওয়া শাল পরা ছিল। তারা আরবিতে কথা বলছিল। এ অবস্থায় এক ব্যক্তি তেড়ে এসে তাদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাদের গুলি করে।
এসব তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এডিসির দাবি, আরব হওয়ার কারণেই তাদের গুলি করা হয়েছে। এটা এক ধরনের বর্ণবাদী, বৈষম্যমূলক আচরণ।
তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে অনুরোধ করব। যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি আরব ও ফিলিস্তিন বিরোধী মনোভাব বেড়েছে। তিন শিক্ষার্থীকে গুলি তার আরেকটি প্রমাণ।
গাজা হামলায় ইসরায়েলের প্রতি বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক ও ট্রাম্পের রিপাবলিক উভয় পার্টির ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। ইসরায়েলের জন্য জরুরি ভিত্তিতি অস্ত্র রপ্তানি ও সহায়তা বিল পাস হয়েছে দেশটির কংগ্রেসে।
সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি