প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১৯ পিএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:২০ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি জায়গায় উত্তর কোরিয়ার একটি পতাকা ওড়তে দেখা যাচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। আকাশ, স্থল ও নৌ পথে সব ধরনের হুমকি মোকাবিলায় এ প্রস্তুতি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) কক্ষপথে একটি স্যাটেলাইট সফলভাবে স্থাপন করার কথা জানায় উত্তর কোরিয়া। এ ঘোষণার পরপরই দেশটির সঙ্গে ২০১৮ সালে করা কম্প্রিহেনসিভ মিলিটারি অ্যগ্রিমেন্ট (সিএমএ) স্থগিতের ঘোষণা দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। এ ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়াও চুক্তিটি বাতিল ও সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোর কথা জানালো।
দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়াকে অবশ্যই তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং গুরুতর রাজনৈতিক ও সামরিক উসকানির মূল্য দিতে হবে। এসব উসকানি বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে ঠেলে দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর তথ্যমতে, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত ১০টা ৪২ মিনিটে সোহাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে চোল্লিমা-১ রকেটে করে মালিগিয়ং-১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে এটি কক্ষপথে প্রবেশ করে। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন নিজে স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করেছেন।
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করার আগে জাপানকে জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। কারণ এটি জাপানের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, রাশিয়া থেকে পাওয়া প্রযুক্তি দিয়েই সর্বশেষ স্যাটেলাইট ও রকেট নির্মাণ করেছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া এ দাবি অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে সিউলের দাবির সত্যতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনও উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইটটি কতটা সফলভাবে কক্ষপথে প্রবেশ করেছে তা নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য করেনি। তবে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা শেষে এ বিষয়ে জানাবে পেন্টাগন।
সূত্র : রয়টার্স