প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৬ পিএম
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:২৪ পিএম
গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। ২১ নভেম্বর উত্তর জিয়ংসাং প্রদেশে। ছবি : সংগৃহীত
উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, মঙ্গলবার তারা মহাশূন্যের কক্ষপথে একটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। এ ঘোষণার পরপরই দেশটির সঙ্গে ২০১৮ সালে করা একটি সামরিক চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। চুক্তিতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমানোর কথা বলা হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র পিয়ংইয়ংয়ের গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ওয়াশিংটন।
তবে উত্তর কোরিয়া বলছে, কোরীয় উপদ্বীপ ও তার আশপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কর্মকাণ্ড নজরদারি করার জন্য এ ধরনের গোয়েন্দা স্যাটেলাইট দরকার ছিল। আগামীতে তারা এ ধরনের আরও গোয়েন্দা স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে।
চলতি বছর ইতঃপূর্বে আরও দুইবার গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল কিম জং উনের দেশ। কিন্তু তা কক্ষপথে প্রবেশের আগেই বিধ্বংস হয়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত ১০টা ৪২ মিনিটে সোহাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে চোল্লিমা-১ রকেটে করে মালিগিয়ং-১ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে এটি কক্ষপথে প্রবেশ করে। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন নিজে স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করেছেন।
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করার আগে জাপানকে জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। কারণ এটি জাপানের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে কক্ষপথে প্রবেশ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, রাশিয়া থেকে পাওয়া প্রযুক্তি দিয়েই সর্বশেষ স্যাটেলাইট ও রকেট নির্মাণ করেছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া এ দাবি অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে সিউলের দাবির সত্যতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনও উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইটটি কতটা সফলভাবে কক্ষপথে প্রবেশ করেছে তা নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য করেনি। তবে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা শেষে এ বিষয়ে জানাবে পেন্টাগন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘের প্রস্তাবের নির্লজ্জ লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন। উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের তৎপরতা ওই অঞ্চল ও বিশ্বের অন্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সূত্র : রয়টার্স