প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:১৪ পিএম
এন্ডোজকপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরার মাধ্যমে তোলা শ্রমিকদের ছবি। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের উত্তরাখণ্ডের একটি নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গে ১২ নভেম্বর থেকে আটকা পড়া শ্রমিকদের জন্য মঙ্গলবার সকালে প্রথমবারের মতো টাটকা খাবার পাঠানো হয়েছে। ১০ দিন ধরে আটকা পড়া ওই ৪১ শ্রমিকের জন্য এ দিন বোতলে ভরে খিচুড়ি পাঠানো হয়। পাশাপাশি একটি ক্যামেরায় করে তাদের অবস্থান দেখা সম্ভব হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলা গেছে। তারা সবাই মোটামুটি সুস্থ আছেন।
উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কর্নেল দীপক পাতিল। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ছয় ইঞ্চি পাইপে করে একটি এন্ডোজকপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরা সুড়ঙ্গে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের কাছে এখন মোবাইল ও মোবাইলের চার্জার পাঠানো হবে।
শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে নানা তৎপরতা চালানো হয়েছে। কিন্তু ওই অঞ্চলের মাটির গঠন, পাথর ও ভূমিধসের কারণে এতদিন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা সফল হয়নি।
বর্তমানে ভারতের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্গে বিদেশি বিশেষজ্ঞরাও যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার সুড়ঙ্গে আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য পাঁচটি ধাপ তৈরি করেছে। একটি ব্যর্থ হলে আরেকটি প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এখন সর্বসম্মতিক্রমে মূল সুড়ঙ্গের ডান ও বাম পাশ দিয়ে আড়াআড়িভাবে আলাদা দুটি সুড়ঙ্গ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মূল সুড়ঙ্গে ওপর থেকে উলম্বভাবেও তৃতীয় একটি সুড়ঙ্গ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আটকা পড়ার পর থেকে শ্রমিকদের কাছে মঙ্গলবারের আগ পর্যন্ত শুষ্ক খাবার, পানি ও অক্সিজেন পাঠানো হয়েছে। এখন তাজা খাবার পাঠানোয় শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি হবে। তারা আরও বেশি সময় সেখানে সুস্থ থাকতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে সে বিষয়ে কোনো কর্মকর্তা কিছু জানাননি।
শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ বিলম্বিত হওয়ায় সরকারের সমালোচনা হচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি