প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:০৬ পিএম
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৯ পিএম
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (বাঁয়ে) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ১৫ নভেম্বর সান ফ্রান্সিসকোয় এপেক সম্মেলনে। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সামরিক পর্যায়ে সরাসরি যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার (১৫ নভেম্বর) এক বৈঠকে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সম্মত হন।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, যোগাযোগের অভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট এখন থেকে ফোনে কথা বলবেন। খুব দ্রুত সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। আমরা সরাসরি, উন্মুক্ত ও সুস্পষ্ট যোগাযোগে ফিরে এসেছি।
বুধবার সান ফ্রান্সিসকোয় এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন ফোরামের (এপেক) শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্য সদস্য দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের মতো চীনা প্রেসিডেন্টও যোগ দেন। বাইডেন-শির সম্মেলন ছিল এপেক সম্মেলনেরই একটা অংশ। সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, আমাদের মধ্যে এখনও অনেক মতবিরোধ রয়ে গেছে। তবে অত্যন্ত গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
বাইডেনের অনুরোধ
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, আমি আশা করি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না।
তাইওয়ান ইস্যুতেও চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, তাইওয়ানের সঙ্গে বর্তমানে যে সম্পর্ক রয়েছে তা পরিবর্তনের ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের।
সংঘাত নয় : শি
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে চান। বৈঠকের পর চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে ‘বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক’ বলে অভিহিত করেছেন শি জিনপিং।
শি বলেন, দুদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর দায়িত্ব ভার তাদের কাঁধে। তাই চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দুটি বড় দেশের একে অপরের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া আর ঠিক হবে না। কারণ উভয় পক্ষকে দ্বন্দ্ব এবং সংঘর্ষের অসহনীয় পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ইউক্রেন ও গাজা
বাইডেন-শি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করেছেন। ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করতে রাশিয়াকে চাপ দিতে শিকে অনুরোধ করেছেন বাইডেন।
এই দুই বিশ্বনেতা গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়েও আলোচনা করেছেন। শি বলেছেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়াই সমস্যার মূল কারণ। অন্যদিকে চলতি যুদ্ধে না জড়াতে ইরানকে চাপ দিতেও শির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা, আরটি