প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১১:২৬ এএম
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৪৪ এএম
আশ-শিফা হাসপাতালের ভেতরের দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত
গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আশ-শিফায় বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। কিন্তু প্রথম অভিযান শেষ হলেও হাসপাতালের ভেতরে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কিংবা ইসরায়েলি সেনারা সেখান থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বলেও জানা যায়নি।
জানা গেছে, সর্বাত্মক অভিযান না করে হাসপাতালটির সুনির্দিষ্ট স্থানে অভিযান চালাচ্ছে আইডিএফ। হামাস যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। হাসপাতালে অভিযানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দুষছেন হামাসকে।
ইসরায়েল বলছে, হামাসের সদস্যরা গাজা শহরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় লুকিয়ে আছে, তাই তারা এ অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু নিজ যোদ্ধাদের হাসপাতাল ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে হামাস।
আশ-শিফা হাসপাতালের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি হাসপাতালের ভেতরে ছয়টি ট্যাংক এবং শতাধিক কমান্ডো সৈন্যকে দেখেছি। তারা হাসপাতালের প্রধান জরুরি বিভাগে ঢুকেছে। কিছু সৈন্য মুখোশ পরা ছিল এবং আরবি ভাষায় চিৎকার করছিল ‘পালাবেন না, পালাবেন না’।
আশ-শিফার ভেতরে একজন চিকিৎসক বলেছেন, ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর অভিযানে হাসপাতালে থাকা রোগী, বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আইডিএফের দাবি, গোয়েন্দা তথ্য এবং একটি অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে আইডিএফ শিফা হাসপাতালের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে একটি অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েল জানিয়েছে তারা কয়েক মিনিটের মধ্যে শিফা হাসপাতালে অভিযান চালাবে।
আইডিএফের মুখপাত্র পিটার লার্নার সিএনএনকে বলেছেন, আশ-শিফাকে আমরা তছনছ করব না। সুনির্দিষ্টস্থানে অভিযান চালাব। হামাসকে পরাস্ত করা ও জিম্মিদের উদ্ধার করার জন্যই এ অভিযান।
তবে অভিযানে ইসরায়েল কজন হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে বা কোনো জিম্মিকে উদ্ধার করতে পেরেছে কি না, তা জানা যায়নি। তা ছাড়া হাসপাতালে আদৌ হামাসের যোদ্ধারা ছিল কি না কিংবা ইসরায়েলের সেনারা সেখানে কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়েছে কি না, তাও জানা যায়নি।
তিন দিন ধরে আশ-শিফা হাসপাতাল অবরোধ করে আছে ইসরায়েল। সেখানে ৬৫০ জন রোগী, ৫০০ চিকিৎসক-কর্মচারীসহ প্রায় ২০ হাজার উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে জাতিসংঘ বলছে, হাসপাতালটিতে আশ্রিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
সোমবার হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান দাবি করেন, হাসপাতালে হামাসের একজন যোদ্ধাও নেই। তা খতিয়ে দেখার জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রও বলছে, হাসপাতালে হামাসের কমান্ডো সেন্টার রয়েছে। গোলাবারুদ রয়েছে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল, বিবিসি, আলজাজিরা