প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩২ পিএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:০১ পিএম
৮ নভেম্বর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলি কোহেন। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইলি কোহেন সোমবার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা স্বীকার করেছেন।
কোহেন বলেন, হ্যাঁ, আমাদের মিত্রদের কেউ কেউ ঘরোয়া আলাপে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলছেন। কিন্তু এখনও কেউ প্রকাশ্যে তা বলেননি। তবে ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে তা হতে পারে। এমনটি হলে আমাদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
কোহেন বলেন, হামাসকে ধ্বংস করা ও তাদের হাতে থাকা সব জিম্মিকে উদ্ধার করাই আমাদের লক্ষ্য। এটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সামরিক অভিযান চলবে। বিশ্ব এমনটাই ধরে নিয়েছে।
২৮ অক্টোবর গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে ইতোমধ্যে উত্তর গাজাকে উপত্যকাটির বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হয়েছে ইসরায়েল। উত্তরাঞ্চলের গাজা সিটির আশ-শিফা হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে। এ হাসপাতালসহ উত্তর গাজার সব হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এখন হাসপাতালের চারদিকে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের তীব্র বন্দুক যুদ্ধ চলছে।
১৭ দিনের স্থল যুদ্ধে হামাসের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারলেও একজন ছাড়া কোনো জিম্মিকে উদ্ধার করতে পারেনি ইসরায়েল। হামাসের হাতে প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলে ও বিদেশের নাগরিক জিম্মি রয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল গাজায় পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে ৭০ নারী ও শিশু জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। সোমবার (১৩ নভেম্বর) হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসিম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু ওবাইয়দা এক অডিও বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন।
সোমবার হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন, শক্রপক্ষের জিম্মি নারী ও শিশুদের মুক্ত করার জন্য গত সপ্তাহে কাতার আমাদের একটা প্রস্তাব দিয়েছে। বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি শিশু ও ৭৫ নারীকে মুক্তি দিতে চেয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু আমরা যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে শক্রপক্ষের নারী ও শিশুদের মুক্তি দিতে চাই। এ জন্য ইসরায়েলকে সম্পূর্ণ পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে। বিরতি চলাকালে গাজার সর্বত্র ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দিতে হবে। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু ৪ হাজার ৬৩০ জন। নারী ৩ হাজার ৫০০ এর বেশি।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল, আলজাজিরা