প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৪৭ এএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১২:২৪ পিএম
আশ-শিফা হাসপাতালে অপরিণত নবজাতক। ১২ নভেম্বর তোলা। ছবি : সংগৃহীত
গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আশ-শিফার কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে দুই দিন আগে। সোমবার থেকে হাসপাতালটির গেটে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান। হাসপাতালটি প্রায় কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। সেখানে মরদেহ পচছে, পশুতে খাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও সোমবার (১৩ নভেম্বর) এসব ভয়ংকর খবর দিয়েছে।
হাসপাতালের ম্যানেজার বলেছেন, আশপাশের মৃতদেহ এখন কুকুরে খাচ্ছে। ইসরায়েলের স্নাইপাররা কাউকে বাইরে দেখলেই গুলি ছুড়ছে। ফলে মৃতদেহ দাফন করতে পারছে না হাসপাতালগুলো। চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
আশ-শিফা হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। জ্বালানি নেই। এজন্য অপরিণত নবজাতকদের ইনকিউবেটর থেকে বের করে আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত তিন নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এমন অবস্থায় এ হাসপাতাল প্রায় কবরস্থানে পরিণত হয়েছে বলে সতর্কতা দিয়েছে ডব্লিউএইচও।
কয়েক দিনে এ হাসপাতালের চারদিকে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। এ হাসপাতালে ইসরায়েল সরাসরি বোমা হামলা করেছে। হামলায় হাসপাতালটির হৃদরোগ বিভাগ ধ্বংস হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগসহ দেশটির শীর্ষ রাজনীতিবিদদের দাবি, আশ-শিফার মাটির নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ রয়েছে। হামাসের সেনারা সেখানে অবস্থান নিয়েছে। হামাস এ দাবি অস্বীকার করেছে।
আশ-শিফার সার্জারি বিভাগের প্রধান ড. মারওয়ান আবু সাদাও ১২ নভেম্বর বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের হাসপাতালে একজনও হামাসের যোদ্ধা নেই। পুরো হাসপাতাল তদন্ত করে দেখার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক মহলকে স্বাগত জানাই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হাসপাতালগুলো সুরক্ষিত থাকতে হবে। বাইডেনের আশা সাবধানে হাসপাতালে অভিযান চালানো হবে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা হাসপাতাল থেকে রোগীদের বের করে দিচ্ছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে যে কোনো মুহুর্তে আশ-শিফায় কমান্ডো অভিযান শুরু করবে ইসরায়েল। অথচ সেখানে এখনো প্রায় সাড়ে ৬০০ রোগী, প্রায় ৫০০ চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্মী এবং ১ হাজার ৫০০ মতো উদ্বাস্তু মানুষ রয়েছে। কমান্ডো অভিযান শুরু হলে বড় ধরনের প্রাণহানী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি