প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১১:১৪ এএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৯ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ জনগণ কর্তৃক নির্ধারিত হওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। কোনো দলের পক্ষে নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার ফের এসব কথা ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিলার এসব কথা বলেছেন। এ ছাড়া সংলাপের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গটিও সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনি জানেন- বাংলাদেশ ও ঢাকা গাজার মতো আরেকটি উত্তপ্ত স্থান। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে খুব শিগগিরই এটি গাজা উপত্যকায় পরিণত হবে। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ এবং এখানে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র এবং অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে ভূমিকা পালন শুরু করার পর বাংলাদেশের নাগরিকরা খুব আশাবাদী হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া সব প্রধান রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে কাজ করছে। কেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বাংলাদেশের ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে?
উত্তরে মিলার বলেন, আমি অনেকবার যা বলেছি এবারও সেটিই বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ তার জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়া উচিত।
পরে ওই সাংবাদিক বলেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু বিরোধী দলের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা কারাগারে থাকা অবস্থায় সংলাপ কীভাবে হবে? এবং সরকার ক্র্যাকডাউন চালিয়ে যাওয়ায় বিরোধীদের কারা সেই চিঠি পেয়েছেন, সেটাও ভাবছি। গার্মেন্ট কর্মীও নিহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? এ অবস্থার মধ্যে সংলাপ কীভাবে হতে পারে?
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র এ প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সাংবাদিকের প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই, তবে তেমন কিছু করা থেকে আমি বিরত থাকব। বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না। আমরা একটি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে অন্য কোনো দলকে সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি।