প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২২ ১১:২৬ এএম
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২২ ১২:৫৮ পিএম
ঋষি সুনাক ও বরিস জনসন। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সম্ভাব্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক ও বরিস জনসন মুখোমুখি বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে বেশকিছু সংবাদমাধ্যম।
বিবিসি ও সানডে টাইমসের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, শনিবার (২২ অক্টোবর) রাতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে দুই প্রার্থীর মধ্যে বৈঠকটি হয়েছে। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে এটি তাদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে জনসনের মন্ত্রিসভার সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের পদত্যাগের কারণে জনসন সরকার পতনের বিদ্রোহে আরও হাওয়া লাগে। মূলত তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তই জুলাইয়ে বরিস জনসনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করে।
এরপর ৬ সেপ্টেম্বর দলীয় এমপিদের ভোটে জনসনের উত্তরসূরি নির্বাচিত হন লিজ ট্রাস। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের ৪৫ দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এখন নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা।
তবে অনেকের ধারণা প্রধানমন্ত্রী পদে সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ট্রাসের উত্তরসূরি হতে যাচ্ছেন। তবে কোনো পক্ষই এখনও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যেকোনো প্রার্থীকে সহকর্মী টোরি এমপিদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জনের সমর্থনের বা মনোনয়নের প্রয়োজন হবে। সোমবার স্থানীয় সময় ১টার মধ্যে তাদের এ সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে।
যুক্তবাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে লিজ ট্রাস পদত্যাগ ঘোষণার সময় ক্যারিবিয়ানে ছুটি কাটাচ্ছিলেন জনসন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের লড়াইয়ে অংশ নিতেই শনিবার তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং ঋষির সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
সানডে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, কনজারভেটিভ পার্টির গৃহযুদ্ধ এড়াতে যৌথ মনোনয়নের বিষয়ে সম্মত হতে আলোচনায় বসেছিলেন তারা।
তবে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরসূরির দৌড়ে জনসনের তুলনায় এগিয়ে আছেন ঋষি। যেখানে জনসন ৫৩ আর ঋষি বর্তমানে ১২৮ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন পেয়েছেন।
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট, কনজারভেটিভ পার্টির একমাত্র সদস্য যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘোষণা করে প্রায় ২৩ জনের মনোনয়ন পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদের এ লড়াই চলবে সপ্তাহব্যাপী। নির্বাচনপ্রক্রিয়া শেষ হবে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে।
প্রবা/এনএস/এমজে