দূষিত শহরে শীর্ষে ভারত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বায়ুদূষণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে এবার শীত ঝাঁপিয়ে পড়ার আগেই দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহরটির বায়ুমান অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়েছে। রবিবার সকালে বিশ্বের দূষিত শহরের মধ্যে শীর্ষে ছিল নয়াদিল্লি।

নয়াদিল্লির বাহিরে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত ১০ শহরের মধ্যে ভারতের আরও দুটি শহর রয়েছে। রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার স্থান ছিল চতুর্থ। 

সুইজারল্যান্ডস ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা আইকিউ এয়ার জানায়, ৫ নভেম্বর সকালে বিশ্বের সব চেয়ে দূষিত শহর নয়াদিল্লি। শহরটির বাতাসের গুণমানের সূচক (একিউআই) ৪৮৩। ৩৭১ একিউআই নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ২০৬ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। ১৮৯ নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা। পঞ্চম স্থানে থাকা করাচির একিউআই ১৬২। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মুম্বাই, বাতাসের গুণমান ১৬২। তালিকায় এরপর রয়েছে চীনের বেশ কয়েকটি শহর।

স্কুল বন্ধ ঘোষণা

বায়ুমান খারাপ হওয়ায় নয়াদিল্লির সব প্রাথমিক স্কুল শুক্র ও শনিবার আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। 

শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী স্কুল বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা দেন। এখন নয়াদিল্লির পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব স্কুল ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে দুইটা অপশন দেওয়া হয়েছে। তাদের কেউ স্কুলে যেতে না চাইলে বাসায় থেকে অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে। 

বায়ুদূষণের কারণ

প্রতিবছর শীতের শুরু থেকেই দূষিত হয়ে উঠতে শুরু করে দিল্লির বাতাস। মূলত পার্শ্ববর্তী রাজ্য হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবে কৃষিজমিতে খড়কুটো পোড়ানোর কারণে দূষণ ছড়ায়। সেইসঙ্গে গাড়ি ও নির্মাণ প্রকল্পের দূষণ তো রয়েছে। কম তাপমাত্রা ও বাতাসের গতির অভাবে দ্রুত বায়ুদূষণ বাড়ে। এ ছাড়া উৎসবের সময় পটকা ও বাজি ফোটানোয় বায়ুর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।

স্বাস্থ্য ঝুঁকি

দূষণ বাড়লেই পাল্লা দিয়ে বাড়ে অসুস্থতাও। প্রতিবছরের মতো এ বছরও দিল্লিতে চরম বায়ুদূষণের কারণে বাড়ির বাইরে বের হলেই চোখে জ্বালাপোড়া, গলাসহ শরীরের নানা স্থানে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় সবাইকে মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

সূত্র : স্ক্রলডটইন, এনডিটিভি