প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৩৯ এএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১২:১৬ পিএম
৩ নভেম্বরের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি বাড়ির দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত
নেপালে শুক্রবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ না কাটতেই রবিবার ভোরে দেশটিতে আরেকটি মৃদু ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬। উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১৬৯ কিলোমিটার দূরে।
এদিকে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাতের ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে দেশটি এ পর্যন্ত অন্তত ১৫৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়ে প্রায় ৫০০ জন। ধ্বংস হয়েছে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট।
শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পের পর শনিবার বিকালেও নেপালে ৩ দশমিক ৩ মাত্রার পরবর্তী কম্পন বা আফটার শক আঘাত হানে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই নেপাল ভূমিকম্পের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। নেপালের অবস্থান দুটি বৃহদাকার টেকটোনিক প্লেটের সীমানায়। প্লেট দুটির নাম ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান এবং এশিয়ান প্লেট। এ দুটি প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই সৃষ্টি হয়েছে হিমালয় পর্বতমালা।
নেপাল যে দুটি প্লেটের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সে দুটি প্লেট প্রতিবছর ৫ সেন্টিমিটার হারে একে অপরের দিকে ধাক্কা দিচ্ছে। এটি খুব বড় ধরনের ধাক্কা না হলেও ধীরে ধীরে শক্তি জমা হয় এবং এক সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ তৈরি করে। তখন তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া