গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৫৫ এএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৫৫ পিএম
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয় গাজার একটি আবাসিক ভবন। ৪ নভেম্বর দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৯ হাজার ৫০০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু ৩ হাজার ৯০০। নারী ২ হাজার ৫০৯। আহত হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার (৫ নভেম্বর) ভোরে এসব তথ্য জানিয়েছে।
একই সময়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে অন্তত ১৪৭ জন। আহত হয়েছে ২২০০। গ্রেপ্তার হয়েছে ২ হাজারের বেশি।
শনিবার রাতে মধ্যগাজার মাঘাজি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয় অন্তত ৫১ জন।
ইসরায়েলে যুদ্ধের আন্তর্জাতিক কোনো আইনের তোয়াক্কা করছে না। তারা স্কুল, শরণার্থীশিবিবি, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল, জ্বালানি ও পানির স্থাপনা, বিশ্ববিদ্যালয়, আবাসিক এলাকা তথা নির্বিচারে সর্বত্র বিমান, গোলা ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।
গাজা সিটির জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় তিনবার হামলা চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৯৫ জন নিহত হয়। নিখোঁজ হয় ১২০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ১৪ লাখ মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে। অবরুদ্ধ গাজার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। স্থানচ্যুতদের মধ্যে উত্তর ও মধ্য গাজার প্রায় ৮ লাখ। ওই অঞ্চলে এখনও ৪ থেকে সাড়ে তিন লাখ সাধারণ মানুষ রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এখন এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উত্তর ও মধ্যগাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে তীব্র বন্দুক যুদ্ধ করছে হামাস। ইসরায়েল যতটা সহজে অঞ্চলটি জয় করতে পারবে বলে ধারণা করেছিল, বাস্তব অবস্থা তার চেয়ে অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে ওই অঞ্চলকে গাজার বাকি অংশ থেকে ইতোমধ্যে বিচ্ছিন্ন করতে পেয়েছে ইসরায়েল। এখন সেখানে স্থল যুদ্ধের পাশাপাশি বিমান থেকে নির্বিচারে বোমাও ফেলা হচ্ছে। জাবালিয়া ও মাঘাজি শরণার্থীশিবির ওই অঞ্চলে অবস্থিত।
উত্তর ও মধ্যগাজার বাহিরে গাজার অন্যত্রও বিমান ও গোলা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরয়েল। অন্যদিকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনা ও সেটেলাররাও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র : আলজাজিরা