প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০০:০৪ এএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০০:০৭ এএম
ছবি : সংগৃহীত
বর্বরতার চরমে পৌঁছেছে ইসরায়েল। প্রতিঘণ্টায় গাজায় ৪২টি বোমা হামলা করছে দেশটি। খাবার-পানিহীন অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের ওপর এই হামলা মুহূর্তে মুহূর্তে বাড়াচ্ছে নিহতের সংখ্যা। স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল-অ্যাম্বুলেন্স এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে বোমা ফেলছে না হানাদার বাহিনী।
গাজায় ঢুকে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালাচ্ছে হানাদাররা। মানুষ থাকুক না থাকুক, নড়াচড়া লক্ষ্য করলেই গুলি চালাচ্ছে তারা। কে শিশু, কে বৃদ্ধ আর কেইবা হামাসযোদ্ধা। কোনো কিছুই বাছাবাছি নেই। স্কুল নাকি হামাসের আস্তানা তাও তাদের বিষয় নয়। মুহুর্মুহু বোমা ফেলছে তারা। এক বোমার ধোয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়তে না উড়তেই আরেক বোমার বিকট বিস্ফোরণ। চারদিকে শুধু ধ্বংস আর ধ্বংস। যে দিকে চোখ যায় রক্ত, কান্না, হাহাকার আর ভীতসন্ত্রস্ত ফিলিস্তিনিদের ছোটাছুটি।
৭ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত গাজায় ৯ হাজার ৪৮৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩২ হাজার।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে শতবর্ষ ধরে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে জায়নবাদী ইহুদিরা। ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত করা, যখন তখন গুলি করে হত্যা করা, কথা বললেই গ্রেপ্তার করে ভয়ংকর কারাগারে বন্দি রাখাÑ ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেওয়া ইসরায়েল এমন সব অপরাধ করে চলেছে ফিলিস্তিনিদের ওপর।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের ওপর ঐতিহাসের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সেগুলো দখল করে নেয় জায়নবাদী ইহুদিরা। ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া ভূমি নিজেদের দেশের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে তোলা হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। সেই বেড়া অতিক্রম করলেই গুলি করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। অথচ সেই ভূমি তো তাদেরই জন্মভূমি ছিল। রক্তপাতের দীর্ঘ ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ফিলিস্তিনিদের শুধু জীবনই দিতে হয়েছে।
২০০৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনিদের বসবাসের ছোট্ট উপত্যকা গাজায় পাঁচবার ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার মাটিতে বোমার গন্ধ, রক্তের দাগ। সেই মাটি এখন ভিজে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের রক্তে।
সূত্র : আলজাজিরা