ইসরায়েলের বিমান হামলা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১২:০৩ পিএম
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১২:১৩ পিএম
গাজার আল-নুসিরাত উদ্বাস্তু শিবিরে। ৩১ অক্টোবর ইসরায়েলের বিমান হামলার পর। ছবি : সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় আলজাজিরার এক প্রকৌশলীর পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ওই আলজাজিরা কর্মীর বাবা ও দুই বোনও রয়েছেন। এ ছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ওই বিমান হামলায় অর্ধশতাধিক লোক নিহত হয়েছেন বলে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলের একজন মেডিকেল কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
জানা গেছে, আলজাজিরা ওই প্রকৌশলীর নাম মুহাম্মদ আবু আল-কুমসান। তিনি আলজাজিরা ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন।
এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলাকে ‘গণহত্যা’ এবং ‘ক্ষমার অযোগ্য কাজ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে আলজাজিরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জঘন্য এবং নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে আলজাজিরা। এতে আমাদের নিবেদিত এসএনজি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু আল-কুমসানের পরিবারের ১৯ সদস্য নিহত হয়েছেন।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ক্ষমার অযোগ্য ইসরায়েলি এই হামলায় মোহাম্মদের বাবা, দুই বোন, আট ভাগ্নে এবং ভাতিজি, তার ভাই, তার ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাদের চার সন্তান, তার ভগ্নিপতি এবং এক চাচা নিহত হয়েছেন।’
গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. আতেফ আল-কাহলুত আলজাজিরাকে বলেছেন, ইসরায়েলি এই হামলায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল এখনও নিহতের মোট সংখ্যা জানাতে পারেনি কারণ এটি এখনও নিহতদের সংখ্যা গণনা করছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উত্তর (গাজা) উপত্যকার জাবালিয়া শিবিরের একটি বিশাল এলাকাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত এবং প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ আটকে আছেন।’
এদিকে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচট সিএনএনকে বলেছেন, ‘সেই এলাকায় হামাসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। আমরা এটি অনুসন্ধান করছি এবং সেখানে কী ঘটেছে তা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও তথ্য নিয়ে হাজির হব।’
সূত্র : আলজাজিরা