প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৯ পিএম
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৫৫ পিএম
ইসরায়েলের গাজা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ২৮ আগস্ট ইস্তাম্বুলে। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্ক থেকে সব কূটনৈতিক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করারও কথা জানিয়েছে তেল-আবিব।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধী মন্তব্য করার কয়েক ঘণ্টার মাথায় তেল-আবিব এ ঘোষণা দেয়।
রবিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র বিভাগ ইসরালের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আঙ্কারার অভিযোগ, ইসরায়েল অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। তারা ন্যায্য সমালোচনাও সহ্য করতে পারছে না।
গাজায় ইসরায়েলের টানা বিমান, গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার প্রতিবাদে শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গণবিক্ষোভের ডাক দেয় এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)। এতে একেপির সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বিপুল পরিমাণে যোগ দেয়।
আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভে ভাষণ দেন এরদোয়ান। ভাষণে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েল গাজায় ২২ দিন ধরে খোলাখুলিভাবে যুদ্ধাপরাধ করছে। এসব দেখেও পশ্চিমা নেতারা মুখে কুলুপ এঁটে আছেন। তারা যুদ্ধবিরতির জন্য পর্যন্ত আহ্বান জানাতে পারছে না। এখন আমাদের, আমাদের কাজ করতে দিন।
এরপর ২১ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান বলেন, আমরা সারা বিশ্বকে বলতে চাই ইসরায়েল একটি যুদ্ধাপরাধী দেশ। তারা যে যুদ্ধাপরাধী তা প্রমাণ করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করব। ইসরায়েল একটি দখলদারী দেশ।
ইস্তাম্বুলের পাশাপাশি তুরস্কের অন্য শহরেও শনিবার ইসরায়েলের হামলাবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এসব মিছিলে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মুসলমান শক্তিশালী যেসব দেশের সঙ্গে আগে থেকে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে তুরস্ক তাদের অন্যতম। রক্ষণশীল এরদোয়ান সরকারের সঙ্গে হামাসেরও সুসম্পর্ক রয়েছে।
সূত্র : এএফপি, আলজাজিরা