প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২২ ১৬:১২ পিএম
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৩৭ পিএম
মালয়েশিয়ার ল্যাংকাউই উপকূলে একটি নৌকায় রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রার্থীরা। ফাইল ছবি
মিয়ানমার সামরিক জান্তার সঙ্গে গণপ্রতিরক্ষা বাহিনী (পিডিএফ) ও বিদ্রোহীদের সংঘাতের কারণে দেশটির বিপুল পরিমাণ সাধারণ মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোয় আশ্রয় নিচ্ছে। সম্প্রতি এ রকম শরণার্থী ও সাময়িক আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। কোনো কোনো দেশ তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাচ্ছে। কিন্তু শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থীদের জোরপূর্বক ফেরত না পাঠাতে মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায়। আলজাজিরা জানিয়েছে, বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের অনেক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জান্তার বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত বেড়েছে। এতে সাধারণ মানুষ নির্বিচারে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। উপায়হীন হয়ে তারা প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, কোনো কোনো দেশ এসব আশ্রয়প্রার্থীকে জোর করে ফের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাচ্ছে। এতে করে তাদের জীবন চরম ঝুঁকিতে পড়ছে।
এ অবস্থায় মিয়ানমারের প্রতিবেশীদের প্রতি আমাদের আহ্বান, অসহায় আশ্রয়প্রার্থীদের আপনারা ফেরত পাঠাবেন না। এটা আন্তর্জাতিক আইন ও সাধারণ মানবিক ঐতিহ্যের বিরোধী। অথচ মিয়ানমারের প্রতিবেশীদের শরণার্থী প্রার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার দীর্ঘ দিনের সুনাম রয়েছে। আমরা চাই তারা সেই সুনাম অক্ষুণ্ন রাখুক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুতে মিয়ানমারের অন্তত ১৫০ আশ্রয়প্রার্থী নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। এদের মধ্যে মিয়ানমারের অন্তত ছয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্য রয়েছেন। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ফেরত পাঠানো এসব কর্মকর্তার অন্তত একজন ও তার স্ত্রীকে জান্তা গ্রেপ্তার করেছে।
গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকার ফেরাতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মহলে তৎপরতা চালাচ্ছে মালয়েশিয়া। বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতিপুঞ্জের জোটের (আসিয়ান) মাধ্যমে জান্তাবিরোধী অবস্থানের জন্য বিশ্বের মনোযোগ কেড়েছে মালয়েশিয়া।
অন্যদিকে, মিয়ানমার থেকে পালানো এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে মালয়েশিয়া। কিন্তু দেশটি সম্প্রতি তাদের শরণার্থী বিষয়ক নীতি সংস্কার করেছে। নতুন নীতির কারণে দেশটি কয়েক মাস ধরে আশ্রয়প্রার্থীদের সঙ্গে বৈরী আচরণ করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রবা/টিএ/এমজে